আত্মসমর্পণের পর জামিন পেলেন মান্নান খান

সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2014, 05:51 AM
Updated : 24 August 2014, 06:58 AM

এই আওয়ামী লীগ নেতা রোববার সকালে ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন।    

পরে তার আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান মহানগর হাকিম ইমদাদুল হকের আদালতে জামিনের আবেদন করেন।

শুনানি শেষে বিচারক আগামী ১৩ অক্টোবর শুনানির পরবর্তী দিন রেখে ওই সময় পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। 

মান্নান খানসহ সাবেক দুই প্রতিমন্ত্রী ও একজন সাংসদের বিরুদ্ধে গত ২১ অগাস্ট রমনা থানায় মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মান্নান খানের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ, হলফনামায় দেয়া সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৭৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কবীর হোসাইন ও হুমায়ুন পাঠান শুনানিতে বলেন, এ মামলায় জামিন দেয়ার এখতিয়ার হাকিম আদালতের নেই।

অন্যদিকে মান্নানের আইনজীবী রেজাউর রহমান বলেন, তার মক্কেল একজন ‘বিশিষ্ট ব্যক্তি’ এবং অসুস্থ। জামিন পেলে তিনি পালিয়ে যাবেন না।

আবদুল মান্নান খান (ফাইল ছবি)

সাবেক পূর্ত প্রতিমন্ত্রী মান্নান খান দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সালমা ইসলামের কাছে পরাজিত হন। তার বিরুদ্ধে এই মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক শেখ নাসিরউদ্দিন।

এছাড়া দুদকের উপ পরিচালক আবদুস সোবহান সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও পটুয়াখালীর সাংসদ মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে এবং উপপরিচালক খায়রুল হুদা কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে একই দিনে দুটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বলা হয়, মাহবুবুর রহমান গত নির্বাচনের আগে হলফনামায় সম্পদের যে তথ্য দিয়েছিলেন তার বাইরে আরো এক কোটি ২৪ লাখ ৪০ হাজার নগদ টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক।

এছাড়া পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা দামের একটি জমি তিনি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

কক্সবাজারের সাংসদ আব্দুর রহমান বদি নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়েছে।

অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির অভিযোগে দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচনী হলফনামাকে ভিত্তি করে গত ২২ জানুয়ারি কমিশনের এক বৈঠকে গত সরকারের সাত মন্ত্রী-এমপির সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান শুরুর প্রায় আটমাস পর এই তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

এই তিনজনের বাইরে মহাজোট সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, ঢাকার সংসদ সদস্য আসলামুল হক, রাজশাহীর সংসদ সদস্য এনামুল হক এবং সাতক্ষীরার সংসদ সদস্য এম এ জব্বারের সম্পদ অনুসন্ধান করছে দুদক।