ঘোষণা দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্র, যার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে নিজের হতাশার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
Published : 04 Jun 2014, 06:58 PM
গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেইট এলাকা থেকে মাহবুব শাহীনের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আধা ঘণ্টা আগে নিজের ফেইসবুক পাতায় দেয়া শেষ স্ট্যাটাসে রেললাইনের ওপর শুয়ে থাকার কথা লিখেছিলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সাবেক এই ছাত্র।
মাহবুব লিখেছেন, “বন্ধুরা, আমি এমন একটি অপরাধ করতে যাচ্ছি যা আমার পরিবার, আইন ও ধর্মের বিরুদ্ধে। আমি রেল লাইনের ওপর শুয়ে আছি, ট্রেন আসছে… … বিদায়, বিদায় চিরতরে। মহান আল্লাহ তোমাদের সবার মঙ্গল করুন।”
সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করে তার স্ট্যাটাসে হতাশার কথা ফুটে উঠেছে।
“এই হতচ্ছাড়া নিজেকে দূরে সরিয়ে দিতে যাচ্ছে, যে অপদার্থ কি-না শুধু খেতেই জানে। আমি একটা কমেন্ট লিখেছিলাম, আমার যেতে হবে। তারপর তোমাদের কেউ একজন জানতে চেয়েছ, কোথায় থেকে কোথায় যাচ্ছ? আমি জানি না আমি কোথায় যাচ্ছি। কিন্তু আমি যাচ্ছি। এই অকর্মা নিজেকে ছেড়ে যাচ্ছে।”
মাহবুব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০২-০৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন এবং ২০১২ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান। তিনি থাকতেন কবি জসীমউদদীন হলে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টুরিস্ট সোসাইটির পরপর দুই বার সহসভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন মাহবুব। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের মুনিরাকান্দি গ্রামে।
মাহবুবের পকেটে চারটি চিঠি ও ২ হাজার টাকা পেয়েছে পুলিশ। ওই চিঠির সাহায্যেই পুলিশ তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
চিঠিগুলোর মধ্যে একটিতে লেখা ছিল, ওই টাকা যেন আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে তার লাশ দাফনের কাজে ব্যয় করা হয়।
আরেকটি চিঠিতে মাহবুব তার বন্ধু ‘ডাক্তার রোমানের’ নাম উল্লেখ করে বলেছেন, ওই বন্ধুর কাছে তার ৪০ হাজার টাকা দেনা রয়েছে।