নবাবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মসিউর রহমান জানান, এ ঘটনার পর সোহেল (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
এসআই জানান, সোমাবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নবাবপুর থানা পুলিশের একটি গাড়ি রায়সাহেব বাজার এলাকায় অবস্থান করছিল। কাছাকাছি রাস্তার মোড়ে ছিলেন রংমিস্ত্রি রহমান।
এ সময় ‘বিক্রমপুর খেলনাঘর’ নামের একটি দোকান থেকে পুলিশের দিকে একটি হাতবোমা উড়ে আসে।
“দোকানটি খোলা ছিল। দোকনের ভেতর থেকে আমাদের লক্ষ্য করেই বোমা ছোড়া হয়েছিল। আমরা খুব কাছাকাছি ছিলাম। কিন্তু বোমাটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আব্দুর রহমানের সামনে বিস্ফোরিত হয়।”
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহত আব্দুর রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আল মাহমুদ মেমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “আব্দুর রহমান চোখে ও মুখে আঘাত পেয়েছেন। তার বাম চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেছে।”
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে সোহরোয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এএসআই মসিউর রহমান জানান, এ ঘটনায় ‘বিক্রমপুর খেলনাঘর’ এর কর্মচারী সোহেলকে আটক করা হয়েছে।
বিকাল পাঁচটার দিকে রায়সাহেব বাজার এলাকায় আরো চারটি ককটেল ফাটানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
যাত্রাবাড়ীতে স্কুলের সামনে বিস্ফোরণ
এদিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সকাল সোয়া ১০টার দিকে হরতালের সমর্থনে মিছিল শেষে ‘আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ এর সামনে পাঁচটি হাতবোমা ফাটানো হয় বলে যাত্রাবাড়ী থানার এসআই সুভাষী আক্তার জানান।
এছাড়া নয়া পল্টনের নাইটিঙ্গেল মোড়ে ফাটানো হয় আরেকটি হাতবোমা।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি রুহুল আমিন জানান, সোমবার বেলা ১১ টার দিকে যাত্রবাড়ীর ‘কুতুব খান হাইস্কুল’র পাশ থেকে আমীর হামজা (২৫) নামের একজনকে আটটি হাতবোমাসহ আটক করা হয়।