রায়ের দিনেও উদ্ধত সাকা

যুদ্ধাপরাধের মামলার রায় পড়ার সময়ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2013, 06:47 AM
Updated : 1 Oct 2013, 01:21 PM

মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল রায় পড়ার শুরু করার ঘণ্টাখানেক পরেই আদালতকে তা পড়া বন্ধ করতে বলেন এই বিএনপি নেতা।

বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে সালাউদ্দিন কাদের বলেন, “এগুলো পড়ার দরকার নাই, এগুলো তো গত দুই দিন ধরে অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।”

এ সময় কয়েক মুহূর্তের জন্য বিচারক রায় পড়া বন্ধ রাখেন।মিনিট খানেক পর আবার রায় পড়া শুরু করেন তিনি।

এর আগে হাসতে হাসতে নিচু কণ্ঠে সালাউদ্দিন কাদের বলেন, “যেটা পড়া হয়নি সেটা পড়েন, পড়ে চলেন বাড়ি যাই।”

ট্রাইব্যুনালে সারাক্ষণই কখা বলতে দেখা যায় তাকে। কখনো জোরে, কখনো নিচু কণ্ঠে।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের কয়েকটি অভিযোগ প্রমাণিত হলেও সালাউদ্দিনের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের বেশ স্বাভাবিক দেখা যায়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তার ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চাঁটগাইয়া পোলা তো দুঃখের মধ্যেও হাসতে হয়।”

রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন বিষয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও মুখরোচক মন্তব্যের জন্য সমালোচিত ও আলোচিত সালাউদ্দিন কাদের এর আগেও ট্রাইব্যুনালে অসংলগ্ন কথা-বার্তা বলেন।

গত ১৭ জুন থেকে ট্রাইব্যুনালে নিজেই নিজের  সাফাই সাক্ষ্য দেন তিনি।

তখন আদালতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “আমার না হলে, ফাঁসি কারো হবে না।”

এর আগে ট্রাইব্যুনালের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “কলকাতার জেলে পাঠাবেন না।”

 “বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষক হলে আমিও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক,”  বলেও ট্রাইব্যুনালে মন্তব্য করেন একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।