নিজের জীবদ্দশায় যুদ্ধাপরাধের বিচার দেখে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে কুড়িগ্রামের এই নারী মুক্তিযোদ্ধা বলেন, “এ যুদ্ধে আমাদের জিততেই হবে। তাই সরকারের উচিত এ বছরের মধ্যে সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন করা।
“হত্যাকারী ও ইজ্জত লুণ্ঠনকারী রাজাকার-আলবদর-আল শামসদের ক্ষমা নাই। আমি এদের বিচার দেখার জন্য আরও কিছুদিন এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চাই।
অসুস্থ তারামন বিবি মুক্তিযুদ্ধের সময় উত্তরাঞ্চলের এই জেলার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য একটি জাদুঘর স্থাপনের ইচ্ছাও ব্যক্ত করেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার আলেকচর শঙ্করমাধবপুর গ্রামে চরম দারিদ্র্যের মাঝে দিনাতিপাত করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকার ১৯৭৩ সালে তাকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করে।
শুরুতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রান্না করতেন তিনি। এরপর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাক সেনাদের ক্যাম্পে গিয়ে গোয়েন্দাগিরি করেছেন। ক্রমে প্রশিক্ষণ নিয়ে সম্মুখ সমরেও অংশ নেন তারামন বিবি।
তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “আজ স্বাধীন দেশে শকুনেরা জাতীয় নিশান উড়ায়। এটা হতে পারে না।