‘দ্রোহে পরিণত হয়েছে রাজিবের শোক’

আহমেদ রাজীব হায়দারের নৃশংস হত্যার শোককে শক্তিতে পরিণত করে লড়ে যাওয়ার শপথের কথা জানালেন প্রজন্ম চত্বরের ‘অগ্নিকণ্ঠী’ লাকি আক্তার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2013, 10:58 AM
Updated : 17 Feb 2013, 12:36 PM
রোববার বিকালে ফেইসবুকে এক পাবলিক পোস্টে দেশের সর্বত্র গণজাগরণ মঞ্চ গড়ার আহ্বান জানান।

পোস্টে লাকি আক্তার লিখেছেন, টানা ১৩ দিনের মত শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন চলছে। শহীদ রাজীব ভাইয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিবাদী জনতা যেন আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তাই তো ঝড়-ঝঞ্ঝাকে উপেক্ষা করে সমাবেশে আসছে হাজারো প্রতিবাদী জনতা।

“শোককে শক্তিতে এবং দ্রোহে পরিণত করে বাংলার মাটিতে সকল যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান, জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং তাদের সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয়করণ, শহীদ রাজীব, জাফরসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনায় দেশ গড়ার শপথ নিয়ে সারা বাংলাদেশে লাখো লাখো মানুষ আন্দোলনে শামিল হচ্ছেন।”

“এখন প্রয়োজন সংগঠিত-ভাবে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি পাড়ায় প্রত্যেকটি অঞ্চলে, ইউনিয়নে, গ্রামে গঞ্জে কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র যুব ও সকল শ্রেণীর মানুষের অংশগ্রহণে শক্তিশালী গণ-জাগরণ মঞ্চ গড়ে তোলা। আগামীকাল জামাত শিবির কর্তৃক আহুত হরতাল প্রত্যাখ্যান করে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে মাঠে নামুন, প্রতিহত করুণ, প্রতিরোধ করুন। জনতার জয় অনিবার্য।”

“এ লড়াই বাঁচার লড়াই, এ লড়াইয়ে জিততে হবে। জয় বাংলা, জয় জনতা।”

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ২০০৭ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন লাকি।

২০০৯ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নে।

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দাবির আন্দোলনে স্লোগানের জন্য সারা দেশেই এখন পরিচিত মুখ লাকি।

সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে স্লোগানরত লাকির ছবি তুলে অনেকেই লিখেছেন- ‘স্যালুট লাকি আক্তার!’

কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে অবিরাম স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা লাকি। ফেনীর বাসিন্দা লাকি ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক।

ফেসবুকে তার ‘বন্ধুর’ বাইরেও প্রায় ১১ হাজার হাজার ‘ফলোয়ার’ বা অনুসারী রয়েছেন, যারা তার পাবলিক স্ট্যাটাস দেখতে পান। রোববার বিকালে এই স্টাটাসটি দেয়ার ৩ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৭শ’ জন এতে লাইক দিয়েছেন, স্টাটাস বিভিন্ন ওয়ালে শেয়ার করেছেন ৭৪ জন।