ইনকিলাব সম্পাদক বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা

দুই বছরের বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত দৈনিক ইনকিলাবের চাকরিচ্যুত সাংবাদিক-কর্মচারীদের উপর হামলার ঘটনায় সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2017, 05:35 PM
Updated : 15 Sept 2017, 05:35 PM

এই মামলার অন্যতম আসামি ইনকিলাবের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার আদালতে তোলা হয়েছিল।

আসামি পক্ষের আইনজীবি সৈয়দ আহমদ গাজী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাবিবুর রহমানের জন্য জামিনের আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

পাওনার দাবিতে বৃহস্পতিবার ইনকিলাব কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনত চাকরিচ্যুত সাংবাদিক কর্মচারী উপর হামলার ঘটনা ঘটে; রাতেই ওয়ারী থানায় মামলা করেন আন্দোলনকারী সাংবাদিক শামীম চৌধুরী।

মামলায় ইনকিলাব সম্পাদক ছাড়াও প্রধান প্রতিবেদক রফিক মোহাম্মদ, শাখাওয়াত হোসেন, নুরুল ইসলাম, হাসান সোহেলসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার পরপরই পুলিশ হাবিবুরকে গ্রেপ্তার করে।

এদিকে হামলার ঘটনায় আহত চাকুরিচ্যুত সাংবাদিক ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তিনি শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেতনসহ বিভিন্ন পাওনাদি না দিয়ে তাদের উপর হামলা করা হয়েছে। ইনকিলাব সম্পাদকসহ সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হামলার ঘটনা নিয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে শনিবার ডিইউজের কার‌্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে হামলার ঘটনার পরেও ইনকিলাব প্রকাশনা অব্যাহত রয়েছে।

সেখানে কর্মরত এক সাংবাদিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মালিকের একগুয়েমির কারণে বৃহস্পতিবার হামলার ঘটনা ঘটে। এরপরেও তারা প্রকাশনা চালু রাখবে। পাশপাশি আন্দোলনরত সাংবাদিকদের পাওনার বিষয়টি নিয়ে মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ইনকিলাবের ভেতরের অবস্থা করুণ। তারাও নানাভাবে মালিক পক্ষের লোকজনের দ্বারা প্রতারিত হচ্ছেন। এর একটা স্থায়ী বিহিত করা দরকার। 

ওয়ারী থানায় ওসি রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার দায়ের করা মামলাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত হচ্ছে। এই মামলার অন্য আসামদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।