ঢাকার আর কে মিশন রোডে ইনকিলাব কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার রাতে পত্রিকাটির মালিকপক্ষের লোকজনের হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পত্রিকাটির কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে রাত ৯টার দিকে মালিকপক্ষের লোকজন হামলা চালায়।
“তারা ভবনের উপর থেকে গরম পানি ও ইটপাটকেল মারে এবং সমাবেশস্থলে ১০/১২ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে মারধর করে ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে।”
হামলায় শামীম চৌধুরী, জোৎস্না বেগম ও হাবিবসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে ঘটনাস্থলে থাকা চাকুরিচ্যুত সাংবাদিক ডিআরইউ’র সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা জানিয়েছেন।
সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, গত ৩০ এপ্রিল থেকে ৯ মে পর্যন্ত ইনকিলাব কর্তৃপক্ষ প্রায় ২৬ মাসের বেতনসহ অন্যান্য বকেয়া রেখে শতাধিক সাংবাদিক-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করে। এই পাওনা আদায়ের জন্য সাংবাদিক-কর্মচারীরা আন্দোলন শুরু করলে মালিকপক্ষ টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে আবার আন্দোলন শুরু হয়।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ইনকিলাবের সাংবাদিক-কর্মচারীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বৃহস্পতিবারের এই অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল।
সমাবেশে বিএফইউজের মহাসচিব ওমর ফারুক বলেন, “বকেয়া বেতন এবং অন্যান্য সুবিধাদি পরিশোধের জন্য ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি। তিনি এখন ফোনও ধরেন না।
“আমরা ইনকিলাব গেটে অবস্থান করছি। পাওনা আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। না হলে সম্পাদকের বাসা ঘেরাও করা হবে।”
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ডিইউজের সভাপতি শাবান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিআরইউ’র সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, বিএফইউজের যুগ্ম-মহাসচিব অমিয় ঘটক পুলক, সাব-এডিটর কাউন্সিলের সভাপতি কে এম শহীদুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহজাহান মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবু, ডিআরইউ’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য ওসমান গণি বাবুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি এম এম জসিম, এইচ এম মুর্শেদ, রমজান আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।