৬ বার পেছানোর পর ড্যান্ডি ডাইং মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ

ছয় বার পেছানোর পর আবার শুরু হয়েছে ড্যান্ডি ডাইংয়ের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের করা ৪৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2016, 01:21 PM
Updated : 30 August 2016, 01:21 PM

মঙ্গলবার মামলার বাদী সোনালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম আদালতে তার জবানবন্দি শেষ করেছেন।

বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের আপত্তিতে সাড়া না দিয়ে এদিন তার জবানবন্দি নেন ঢাকার ১ নম্বর অর্থঋণ আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস।

বিচারক আগামী ৪ অক্টোবর বিবাদীদের পক্ষে বাদীকে জেরা করার তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন বলে ব্যাংকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলাটি স্থগিত চেয়ে হাই কোর্টের আদেশে বিচারকের সই এখনও না হওয়ার কারণ দেখিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে ষষ্ঠ বার সময় চেয়েছিলেন বিবাদী খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। একই কারণ দেখিয়ে এর আগে ২১ অগাস্ট আবেদন করে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় নিয়েছিলেন তারা।

গত ৩ এপ্রিল এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনসহ ১৫ বিবাদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সেদিন মামলার বাদী সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম আদালতে আংশিক সাক্ষ্য দেন।

মামলার নথিপত্র সূত্রে জানা যায়, আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ায় ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক অংশীদারিত্ব মামলায় তার মা খালেদা জিয়া, স্ত্রী শামিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদী করার জন্য ২০১৫ সালের ৮ মার্চ আদালতে আবেদন করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১৬ মার্চ ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসান আরা হ্যাপী এ মামলায় তাদের বিবাদী করেন।

গত বছরের ২৪ জানুয়ারি আরাফাত রহমান কোকো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান।

এ মামলায় অন্য বিবাদীরা হলেন- খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, তার মামা প্রয়াত সাঈদ ইস্কান্দারের ছেলে শামস ইস্কান্দার ও সাফিন ইস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া ইস্কান্দার ও স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদ, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন (অন্য মামলায় বর্তমানে কারাগারে), মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান।

মামলার আরজিতে বলা হয়, ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের অনুকূলে সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক ঋণ মঞ্জুর করে।

২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ তাদের সুদ মওকুফ করে। পরবর্তীতে বিবাদীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক আবারও ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ করে দেয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বার বার কালক্ষেপণ করতে থাকেন।

৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে এই মামলাটি করে সোনালী ব্যাংক।