সড়কের মূল অংশের গাছ কাটা নিয়ে তাদের আপত্তি না থাকলেও ফুটপাতের অংশে পড়া গাছগুলো কেন কাটা হচ্ছে- সে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
অবশ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, সড়ক সংস্কারের প্রয়োজনে অপরিকল্পিভাবে থাকা গাছই কাটা হচ্ছে; সেখানে পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগানো হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এক নম্বর ওয়ার্ডের (উত্তরা মডেল টাউন) বিভিন্ন সড়কে কয়েক ধাপে সংস্কার কাজ চলছে। মূল সড়কের পাশাপাশি ফুটপাত, ড্রেনসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা উত্তরার সড়কগুলোতে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে; যেমনটা ঢাকার অন্যান্য আবাসিক এলাকায় দেখা যায় না। সড়কের পাশের গাছ অপরিকল্পিতভাবে থাকলেও প্রশস্ত রাস্তা থাকায় তাতে চলাচলে অসুবিধা হয়নি বলে দাবি অনেক বাসিন্দার।
উত্তরার সেক্টর ৩, সেক্টর ৫, সেক্টর ৭ ও সেক্টর ১১ ঘুরে রোববার দেখা যায়, এসব এলাকার বিভিন্ন সড়কে ফুটপাত নির্মাণ হচ্ছে। সংস্কারের আওতায় পড়া সড়কগুলোতে এলোমেলো পড়ে আছে গাছ।
তিন নম্বর সেক্টরের ১০ নম্বর সড়কের ১৫ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা রাজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফুটপাতের জন্য কাজ হচ্ছে, তাই বলে যে এখানে গাছ থাকতে পারবে না তা তো নয়।
“যতটুকু দেখেছি, যা বুঝতে পারছি, অনেক সময় নিজেদের আর্থিক প্রয়োজনে তারা গাছ কেটেছে। কারণ এখানে যে গাছটা কাটার প্রয়োজন নেই, তারা সেটাও কেটেছে।”
অভিযোগের সুরে রাজ বলেন, “যেটা সড়কের উপরে পড়েছে সেটা না হয় কাটল; কিন্তু যে গাছটা এক্কেবারে রাস্তার ধারে, বহুদিনের পুরোনো- সেটা কেন কাটা হলো? তাহলে এটা যে শুধুই রাস্তার জন্য গাছ কাটা তা নয়, তাদের নিজের পকেটে টাকা ভরার জন্যই এই কাহিনী করা হচ্ছে।”
“রাস্তার যে অংশটি সংস্কারের জন্য নির্ধারিত সীমানায় পড়েছে, সে অংশের সব গাছই কাটা হয়েছে। আর ফুটপাতের অংশের কিছু গাছ কাটা হয়েছে, কিছু রেখে দেওয়া হয়েছে।”
সড়কের আরেক বাসিন্দা ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, সংস্কারের জন্য তার এলাকায় তুলনামূলক কম গাছ কাটা হয়েছে। তবে উত্তরার অন্যান্য সড়কে ব্যাপক হারে গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
৭ নম্বর সেক্টরের ২৭ নম্বর সড়কেও অনেক গাছ কেটে ফেলতে দেখা গেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সড়কের ফুটপাতের অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের গরিবে নেওয়াজ সড়কও সংস্কার কাজের আওতায় পড়েছে। তবে বাণিজ্যিক ভবন বেশি থাকা এই সড়কের গাছ তুলনামূলক কম কাটা হয়েছে বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
সড়ক সংস্কারের প্রয়োজনে গাছ কাটার বিষয়টি সিটি করপোরেশনের গোচরে রয়েছে বলে জানান উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইয়েদ আনোয়ারুল ইসলাম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “যেসব গাছ কাটা হচ্ছে সেগুলো অপরিকল্পিতভাবে লাগানো। সেখানে আরও পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগানো হবে।”