মৃত ভোটার শনাক্তের সম্মানী পাবে চৌকিদাররা

তথ্য সংগ্রহে মাঠ কর্মকর্তাদের ‘ব্যর্থতায়’ ভোটারের নাম কর্তনে ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার ও গ্রাম পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2015, 01:22 PM
Updated : 26 Oct 2015, 03:24 PM

এক্ষেত্রে প্রতি মৃত ভোটারের তথ্য সংগ্রহে ১০ টাকা সম্মানীও দেওয়া হবে।

রোববার দেশের সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছেন ইসির উপসচিব মু. আবদুল অদুদ।

ভোটারদের স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরুর আগে মৃত ভোটারের নাম কর্তনে দেশ জুড়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হল।

দেশজুড়ে চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদে তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হয়েছে। ছবি তোলা ও যোগ্যদের তথ্য নিবন্ধন চলবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

ইতোমধ্যে মৃত ভোটার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসি।

সাংবিধানিক এই সংস্থাটির সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম এ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, “এবার হালনাগাদে তালিকা থেকে বাদযোগ্য মৃত ভোটারের সংখ্যা সন্তোষজনক নয়। বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে বেশ কম তথ্য সংগ্রহ হয়েছে। সেই সঙ্গে সব এলাকায় পুনরায় তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

উপসচিব অদুদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, মৃত ভোটারের নাম বাদ দিতে ইউপি’র চৌকিদার/গ্রাম পুলিশদের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা ইউনিয়নভিত্তিক মৃত ভোটারের সত্যায়িত কপি ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে পাঠাবেন।

“চেয়ারম্যানরা এ তালিকা সরবরাহের পর যেসব মৃত ভোটার তালিকাভুক্ত হয়নি তাদের নাম নির্ধারিত ছকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেবেন চৌকিদার/গ্রাম পুলিশ।”

ইউপি চেয়ারম্যান নামগুলো যাচাই সাপেক্ষে তালিকায় নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করবে এবং পূর্ণাঙ্গ তালিকার কপি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন।

নতুন করে বাদযোগ্য প্রতিটি মৃত ভোটারের তথ্য সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট চৌকিদার/গ্রাম পুলিশদের সম্মানী হিসেবে ১০ টাকা করে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের ইসির নির্দেশনা বাস্তবায়নে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

গত ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদ্যমান ভোটার তালিকা থেকে কর্তনের জন্য হালনাগাদে ৬ লাখ ৯১ হাজার ৬০৬ জন মৃত ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ হয়েছে।

দেশের ১৬ কোটি জনসংখ্যার বিপরীতে বাৎসরিক মৃত্যুর হার বিবেচনায় ভোটার তালিকা থেকে ১২ থেকে ১৫ লাখ মৃত ব্যক্তির বাদ যাওয়ার ধারণা করছে নির্বাচন কমিশন।