বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী সোমবার এই রিট আবেদন করেন।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জাফর আহমেদের অবকাশকালীন বেঞ্চ এ বিষয়ে আংশিক শুনানি করে ৩০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ঠিক করে দিয়েছে।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন সমিতির প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
শুনানির পর ফাওজিয়া করিম ফিরোজ বলেন, হাই কোর্ট বিভাগের সাবেক বা বর্তমান বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের পর আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে এই রিট আবেদনে।
একই বিষয়ে আদালতের কাছে রুলও চাওয়া হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহা পরিদর্শক, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি (শৃঙ্খলা), টাঙ্গাইলের ডিসি, এসপি ও কালিহাতীর ওসিকে বিবাদী করা হয়েছে।
সালমা আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রিট আবেদনটির ওপর আংশিক শুনানি হয়েছে। আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন রেখেছেন”
ছেলের সামনে মাকে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকালে কালিহাতী উপজেলা সদরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়।
এতে পুলিশের গুলিতে ওইদিনই তিনজন নিহত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সন্ধ্যায় মারা যান আরেকজন।
এ ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনার মধ্যে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে গুলিবর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
এরপর পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। অন্যদিকে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে প্রায় ৯০০ জনকে আসামি করে দুটি মামলা হয় থানায়।
নিহতদের পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনার জন্য পুলিশকেই দায়ী করছেন। তবে পুলিশ বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান মোখলেছুর রহমান বলেছেন, সংঘর্ষের পেছনে ‘তৃতীয় কোনো বিষয়’ থাকতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।