মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন।
তবে আইনগত জটিলতার কারণে ‘সাময়িক জাতীয় পরিচয়পত্র’ শব্দটি ব্যবহার না করার পক্ষে মত দিয়েছে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি।
সুলতানুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোটি ভোটারের সুবিধার্থে নাগরিক পরিচিতি বিবরণী সেবা দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এটা দেখতে জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো না হলেও এনআইডি এর দৃশ্যমান ফিচারগুলো তারা পাবে।
“বৃহস্পতিবারের মধ্যে এ সংক্রান্ত নথিতে সব কমিশনারের স্বাক্ষর নেওয়ার পর আগামী সপ্তাহে সেবাটি চালু হবে।”
এই পরিচিতি বিবরণীর মুদ্রিত অনুলিপি স্থায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করা যাবে বলে জানান তিনি।
বর্তমানে ৯ কোটি ৬২ লাখেরও বেশি ভোটারের মধ্যে প্রায় অর্ধকোটি নাগরিকের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। চলমান হালনাগাদে আরও ৭২ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হচ্ছে।
“প্রিন্টেড ভার্সনের এ পরিচিতি বিবরণীর উপর ‘সাময়িক পরিচয়পত্র’ লেখা থাকবে না; তবে সংশ্লিষ্ট নাগরিকের ‘জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়নি’ উল্লেখ থাকবে।”
তথ্য বিবরণীতে নাগরিকের ছবি, পরিচিতি নম্বর, নাম, পিতা-মাতার নাম থাকবে।
‘সাময়িক এনআইডি’ শব্দটি ব্যবহার না করার কারণ তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ জানান, সব ভোটারকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার কথা বলা রয়েছে সংশ্লিষ্ট আইনে।
“সাময়িক জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার সুযোগও রাখা হয়নি। এজন্য ওই শব্দটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।”