বিশ্ব

জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করে থাইল্যান্ডজুড়ে বিক্ষোভ

Byনিউজ ডেস্ক

দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে গত তিন মাস ধরে চলা বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় শনিবারের বিক্ষোভগুলো হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

শুক্রবার পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বহু প্রতিবাদকারী। তরুণদের নেতৃত্বাধীন ওই বিক্ষোভে বহু শিশুও ছিল বলে জানিয়েছেন তারা।

রাজধানী ব্যাংককের লাট পাহ্রাও স্টেশনে কয়েক হাজার প্রতিবাদাকারী জড়ো হয়েছিলেন। এখানে প্রতিবাদে যোগ দেওয়া ২৭ বছর বয়সী অফিস কর্মী টাং বলেন, “এটা বাড়াবাড়ি। তাদের আমাদের ক্ষমতা দেখাতে ও আমরা এসব মেনে নেবো না বলে জানাতে চাই।”

প্রতিবাদকারীদের আটকানোর চেষ্টায় ব্যাংককের গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু এতে উল্টো ফল হয়ে সারা শহরে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। আটকা পড়া লোকজন শহরের তিনটি মূল কেন্দ্রে ও কয়েকটি ছোট ছোট কেন্দ্রসহ বহু জায়গায় জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দেখায়।

ব্যাংককের বাইরে অন্তত ছয়টি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে।

তবে কোনো জায়গায়ই পুলিশ হস্তক্ষেপ করেনি এবং প্রতিবাদকারীরাও কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখানোর পর নিজেরাই যার যার গন্তব্যে চলে যায়। 

এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে ধাপে ধাপে আইন প্রয়োগ করবে।

প্রতিবাদকারীরা প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক সামরিক শাসক প্রায়ুথ চান ওচার পদত্যাগ দাবি করেছেন। তারা এখন প্রকাশ্যে রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণর সমালোচনা করছেন। থাইল্যান্ডের আইন অনুযায়ী রাজতন্ত্রের অবমাননা করলে ১৫ বছর কারাদণ্ড হতে পারে, কিন্তু তা আর গ্রাহ্য করছেন না দেশটির প্রতিবাদকারীরা।   

দীর্ঘদিন ধরে চলা বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে নিয়ম লঙ্ঘন করার মত সাহসী হয়ে উঠছেন তারা।

আরও পড়ুন:

SCROLL FOR NEXT