থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা জারি, জমায়েত নিষিদ্ধ

রাজার ক্ষমতা খর্ব এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ থামাতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সরকার; নিষিদ্ধ করা হয়েছে সমাবেশ এবং স্পর্শকাতর সংবাদ প্রকাশ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Oct 2020, 06:35 AM
Updated : 15 Oct 2020, 07:25 AM

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় জরুরি অবস্থা কার্যকর হয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, জরুরি অবস্থা কার্যকর হওয়ার পরপরই দাঙ্গা পুলিশ প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীরা অস্থায়ী ব্যারিকেড তৈরি করে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেও পারেনি।

বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার পর রাস্তায় কয়েকশ পুলিশ দেখা গেছে।.

পুলিশের পক্ষ থেকে অন্তত ২০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজন নেতাও রয়েছেন।

বিবিসি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন মানবাধিকার আইনজীবী অ্যানন নামপা, ছাত্রনেতা পারিত চিওয়ারাক, যিনি ‘পেঙ্গুইন’ নামে পরিচিত এবং পানুসায়া সিথিজিরাওয়াতানাকুল।

জারি করা জরুরি ডিক্রিতে পাঁচ বা তার বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ‘ভীতিকর’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি’  তৈরি করতে পারে এমন সংবাদ প্রকাশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে এতে।

জরুরি অবস্থা জারির ফলে যেকোনো সুনির্দিষ্ট এলাকায় মানুষের প্রবেশ আটকাতে পারবে কর্তৃপক্ষ।

দেশটির সরকার বলছে, রাজকীয় মোটর শোভাযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, অস্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এই জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  

প্রধানমন্ত্রীর জারি করা জরুরি ডিক্রি থাই পুলিশের পক্ষ থেকে টেলিভিশনে প্রচারিত হয়।

এতে বলা হয়েছে, “দ্রুত এবং কার্যকরভাবে এই পরিস্থিতির (বিক্ষোভ) অবসান ঘটিয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরয়ে আনতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া খুবই প্রয়োজন ছিল।”

বিদেশভ্রমণ শেষে থাইল্যান্ডের রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণের দেশের মাটিতে পদাপর্ণে ফের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ব্যাংকক।

বুধবার হাজারো গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারী রাজার গাড়িবহরের সামনে বিক্ষোভ করে। আন্দোলন-বিক্ষোভের প্রতীক হয়ে ওঠা ‘তিন আঙ্গুল স্যালুট’ প্রদর্শন করে তারা।

মূলত প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার পদত্যাগের দাবিতে বুধবার ১০ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী রাজধানীতে জড়ো হয়। একইসঙ্গে রাজার ক্ষমতা খর্ব করার দাবিও জানাচ্ছে তারা।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থানের ঘোষণা দেয়।