টাঙ্গাইলের আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি নিরাপত্তায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাসে যাত্রীবেশে ডাকাতি ও দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার নারী।

)<div class="paragraphs"><p>টাঙ্গাইলের আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি নিরাপত্তায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাসে যাত্রীবেশে ডাকাতি ও দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার নারী।</p></div>
সমগ্র বাংলাদেশ

টাঙ্গাইলে বাসে ডাকাতি- ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ১০

Byজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

টাঙ্গাইলে মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও এক নারীকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণের’ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র‌্যাব।

রোববার রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের বার্তায় জানানো হয়, আলোচিত এ ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী রতন হোসেনসহ ডাকাত চক্রের ১০ জনকে ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে বার্তায় জানানো হয়।

এর আগে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার সন্ধ্যায় তারা জবানবন্দিও দিয়েছেন।

গত মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাসে যাত্রী বেশে উঠে পড়া ডাকাত দল যাত্রীদের মারধর ও তাদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র লুট করে। পরে বাসে থাকা এক নারীকে দলবেধে ধর্ষণ করে। এ তাণ্ডব চলে বুধবার ভোর পর্যন্ত।

আগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা গৌরস্থান এলাকায় বাসের চালক রাজা মিয়া, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের আব্দুল আউয়াল এবং কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ধনারচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের নুর নবী।

ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় বাসের যাত্রী হেকমত আলী বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানায় মামলা করেন।

অন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১০ থেকে ১২ সদস্য টানা তিন ঘণ্টা বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এমন ঘটনা ঘটায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এর পর বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয় আব্দুল আউয়াল ও নুর নবীকে।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্ষণের শিকার নারী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন। ওইদিন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।

SCROLL FOR NEXT