লাইফস্টাইল

বন্ধু বিষণ্ণ- তাতে আপনার কী!

Byআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

আর এই ফলাফল পাওয়া গেছে এক গবেষণায়।

গবেষণাপত্রে জানানো হয়, বন্ধুমহলে একে অপরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে মেজাজের প্রভাব। অর্থাৎ একজনের মন খারাপ থাকলে অন্যদেরও মন খারাপ হয়ে যেতে পারে। হতাশার বিভিন্ন উপসর্গ যেমন- অনাগ্রহ এবং অসহায়ত্বের অনুভূতি ইত্যাদিও আশপাশের মানুষকে প্রভাবিত করে।

মেজাজ খারাপ থাকা বন্ধুর সংখ্যা বেশি হলে ব্যক্তিগতভাবেও একজনের মেজাজ খারাপ থাকতে পারে। এবং মন ভালো করার আগ্রহও চলে যেতে পারে।

তবে বাজে মেজাজে থাকা বন্ধুদের যতটা শক্তিশালীভাবে প্রভাবিত করে হতাশা ততটা শক্তভাবে প্রভাবিত করে না।

ব্রিটেনের ‘ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারউইক’য়ের জনস্বাস্থ্য পরিসংখ্যানের গবেষক রব এয়ার বলেন, “বন্ধুদের মন-মেজাজ আপনার মন-মেজাজকে কীভাবে প্রভাবিত করে তা বুঝতে পারলে বয়ঃসন্ধিকালে হওয়া হতাশা দূর করার উপায় বের করা সহজ হবে গবেষকদের জন্য।”

আগের একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক সৌহার্দ ও সহযোগিতামূলক আচরণ বয়ঃসন্ধিকালে মন-মেজাজের খিটখিটেভাব নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় অন্যের অনুভূতির প্রকাশ ব্যক্তির ক্ষেত্রে মানসিক অবস্থায় প্রভাব ফেলতে পারে।

 ‘রয়েল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স’ নামক জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় আরও বলা হয়, কোনো কিছু খাওয়ার ইচ্ছা, ক্লান্তি, ঘুম ইত্যাদিও ‘সোশাল কনটেইজিওন’ নামক প্রক্রিয়ায় সংক্রমিত হতে পারে।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও)’র হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বব্যপি প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ হতাশায় ভোগেন, যা তাদের কাজ ও সামাজিক সম্পর্কের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে, গুরুতর অবস্থায় আত্নহত্যার পথেও ঠেলে দেয়।

গবেষণার প্রধান গবেষক ও ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারউইক’য়ের অধ্যাপক ফ্রান্সেস গ্রিফিথস বলেন, “যেহেতু আবেগগুলো আশপাশের মানুষকেও সংক্রমিত করে তাই এর কুফল এড়াতে সমাজের উচিত বন্ধুত্ব বাড়ানোকে প্রথম ধাপ হিসেবে গন্য করা এবং তার পরের ধাপ হওয়ার উচিত নেতিবাচক আবেগের সংক্রমন কমানো।”

ছবি: রয়টার্স।

SCROLL FOR NEXT