স্বাস্থ্য

দুই বছরের কম বয়সীদের ‘বিপদ ঘটাতে পারে’ মাস্ক

Byনিউজ ডেস্ক

সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এমনিতে জাপান সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের নীতিমালায় মহামারীর এই সময়ে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।

তবে দেশটির পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন এক লিফলেটে অভিভাবকদের সতর্ক করে বলছে, দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের মাস্ক পরিয়ে রাখলে তাদের মুখের রঙ ও অভিব্যক্তির পরিবর্তন বোঝা যাবে না। তাদের শ্বাসকষ্ট হলেও তা নজর এড়িয়ে যেতে পারে।    

“মাস্ক পরানো হলে শিশুদের শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে; এর ফলে তাদের হিট স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যাবে।”

বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে সিএনএন লিখেছে, মাস্ক পরে থাকা শিশুদের বাতাস টেনে নিতে অসুবিধা হয়। আর তাতে শিশুদের ফুসফুসে বাড়তি চাপ পড়ে। 

অনেক সময় মাস্কের ভেতরে শিশুদের বমি হতে পারে। সেক্ষেত্রে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

শিশুদের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম জানিয়ে জাপান পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা জরুরি নয়।

সংক্রমণের মাত্রা বাড়তে থাকায় ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে জাপানের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে রাজধানীসহ বিভিন্ন প্রদেশে ৬ মে পর্যন্ত জারি করা হয় জরুরি অবস্থা।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এক মাস ধরে চলা সেই জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন গত সোমবার। তবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতা আরও বাড়ানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ১১টি দেশের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে বুধবার থেকে।

যেসব বিদেশি নাগরিক দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশসহ ১১টি দেশ ভ্রমণ করেছেন, তাদের আপাতত জাপানে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জাপানি নাগরিকদের দেশে ফিরতে বাধা না থাকলেও তাদের অবশ্যই স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ১৪ দিনের সঙ্গনিরোধ মেনে চলতে হবে।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, জাপানে কোভিড-১৯ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৮১ জন; এর মধ্যে ৮৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন

SCROLL FOR NEXT