ক্রিকেট

মাঠ থেকে উইকেট আলাদা করা কঠিন!

Byক্রীড়া প্রতিবেদক

মাঠে তাকিয়ে উইকেট খুঁজতে গিয়ে আসলেই দিশাহারা হওয়ার জোগাড়। এই সবুজ প্রান্তরে ২২ গজের রণক্ষেত্র কোথায়!

একটি-দুটি উইকেট ঘাসের মাঝেও একটু ন্যাড়া আছে। ওগুলো আলাদা করা যাচ্ছে। তবে ওইসবে নিশ্চয়ই টেস্ট ম্যাচ হবে না! খানিকপর একটি উইকেট রোল করতে দেখে বোঝা গেল, এখানেই হবে বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ড প্রথম টেস্ট।

পুরেটাই ঘাসে ঢাকা। স্রেফ মাঠের চেয়ে একটু হলদেটে বলে আলাদা করা যায়। উইকেট দেখে পেসারদের যদি জিভে জল আসে, ব্যাটসম্যানদের তবে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হতে পারে।

ম্যাচের উইকেটের খুব কাছেই অনেকক্ষণ কিপিং অনুশীলন করেছেন মুশফিকুর রহিম। সহ-অধিনায়ক তামিম যেমন বলেছেন, একই সুর টেস্ট অধিনায়কের কণ্ঠেও, “আমি তো কাছ থেকেও বুঝতে পারছিলাম না কোনটা উইকেট! তবে ঘাস ছাঁটা হবে শুনছি…।”

ছাঁটা তো হবেই। ম্যাচের আগে দুই দিনে ঘাস ছাঁটা হবে অনেকটাই। তার পরও যেটুকু থাকবে, তাতেও উইকেট সবুজই থাকবে।

খুব বিস্ময়কর অবশ্য নয়। বেসিন রিজার্ভে টেস্ট ম্যাচে উইকেট সবুজাভ রাখা হয় প্রায়ই। পরের দিকে আবার ব্যাটিংয়ের জন্য তা ভালো হতে থাকে ক্রমে।

ঘাস তো থাকবেই, রস টেইলর মনে করিয়ে দিলেন বাউন্সের কথাও। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বাউন্সের উইকেটগুলোর মধ্যে এখন অন্যতম এটি।

এসবের সঙ্গে আছে বাতাস। সফরের শুরু থেকেই যেটি বাংলাদেশের জন্য হয়ে আছে বিভীষিকা। বোলার-ব্যাটসম্যানদের কেউই এখনও পুরোপুরি পারছেন না বাতাসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। আর বাতাস সবচেয়ে তীব্র থাকে এই বেসিন রিজার্ভেই। এই বাতাসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে কাজে লাগানো যায় দারুণভাবে। কিউই পেসাররা সেটি খুব ভালো পারেন। বাংলাদেশ হয়ত বুঝে উঠতে উঠতেই টেস্ট শেষ!

টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা তাসকিন আহমেদ অবশ্য দারুণ রোমাঞ্চিত উইকেট দেখে।

“উইকেট দেখে আমাদের বোলাররা খুশি। বেশ সবুজাভ ও শক্ত উইকেট। আমিও মুখিয়ে আছি এখানে বোলিংয়ের জন্য। আশা করি, আমরা এখানে বোলিং উপভোগ করব।”

তাসকিন বললেন মুদ্রার এক পিঠের কথা। অন্য পিঠেই আছে ব্যাটসম্যানরা। তাদের রোমাঞ্চ হারিয়ে যাওয়ার কথা শঙ্কায়। টেকনিক আর সাহস দিয়ে যদি জয় করা যায় শঙ্কা, তাহলেই কেবল হতে পারে ভালো কিছু।

SCROLL FOR NEXT