অভিজ্ঞতার ঘাটতিও তাসকিনদের জন্য চ্যালেঞ্জ

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টেই বাংলাদেশের স্কোয়াডে থাকা দুই পেসারের মিলিত অভিজ্ঞতা ছিল কেবল ১ টেস্টের। স্পিনাররাই যেখানে ফল নির্ণায়ক ছিলেন বলে দেশের মাটিতে সেই ম্যাচে সমস্যা হয়নি। কিন্তু নিউ জিল্যান্ডে, যেখানে পেসাররা থাকবেন মূল ভূমিকায় সেখানে অভিজ্ঞতার ঘাটতি গড়ে দিতে পারে বড় ব্যবধান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2017, 10:23 AM
Updated : 10 Jan 2017, 12:29 PM

রুবেল হোসেনের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের পেসারদের এবার অভিজ্ঞতার পাল্লাটা একটু ভারী। ২৩টি টেস্ট খেলেছেন এই পেসার। দুটি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে আরেক পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির। অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা তাসকিন ও শুভাশীষ রায়ের ভাণ্ডার স্বাভাবিকভাবেই শূন্য। 

নিউ জিল্যান্ডে কেবল একটি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে রুবেলের। ২০১০ সালের সফরে হ্যামিল্টনে ১২১ রানে হারা সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ২৯ ওভারে ১৬৬ রানে ৫ উইকেট নেন এই পেসার, দ্বিতীয় ইনিংসে ১২ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন।

নিউ জিল্যান্ড দলে থাকা চার পেসারের মধ্যে সবচেয়ে কম সাতটি টেস্ট খেলেছেন ম্যাট হেনরি। বাকি সবার ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের চার জনের মিলিত সংখ্যার চেয়ে বেশি। নিল ওয়াগনার ২৭টি, ট্রেন্ট বোল্ট ৪৭টি আর টিম সাউদি ৫৪টি টেস্ট খেলেছেন।

দুই দলের পেসারদের মধ্যে অভিজ্ঞতার ঘাটতি অনেক। কিন্তু কোর্টনি ওয়ালশের মতো কোচ দলে থাকায় এই ক্ষেত্রে খুব একটা ভুগতে হবে না বলে মনে করছেন তাসকিন আহমেদ। 

“ওদের পেসার যারা আছে, সাউদি-বোল্ট-ওয়াগনার অনেক টেস্ট খেলেছে। ওরা অনেক সফল বোলার। তবে এক সময়ে ওরাও আমাদের মতো ছিল। আশা করি, এক সময়ে আমরাও ওদের মতো হয়ে যাব।”

“কোর্টনি ওয়ালশ একজন কিংবদন্তি, তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। উনার কাছ থেকে যতটুকু পারব শিখব। উনি যথেষ্ট শেখাচ্ছেনও আমাদের। আমরা সবাই বিশ্বাস করি, আমাদের সামর্থ্য আছে।”

নিজের ১৩২টি টেস্টের সাতটি নিউ জিল্যান্ডে খেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক পেসার ওয়ালশ। খুব ভালো করেই জানেন এখানে কি করে উইকেট নিতে হয়। ২০.৭৫ গড়ে এখানে ৩২ উইকেটের পরিসংখ্যান সেই কথাই বলছে। শিষ্যরা তার কাছ থেকে কতটা শিখতে পেরেছে সেটা সময়ই বলে দেবে।