বাংলাদেশ

ইউপি ভোট: প্রচারে বিরত ও এলাকা ছাড়তে এমপিদের অনুরোধ ইসির

Byজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
সোনারগাঁও উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাজীপাড়া এলাকা ছেয়ে গেছে পোস্টারে। এই ইউনিয়নে ভোট হবে আগামী ১১ নভেম্বর। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

একই সঙ্গে এখনও যেসব সংসদ সদস্য আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এলাকায় অবস্থান করছেন তাদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটি।

ইসির উপ সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বিশেষ করে সংসদ সদস্যরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্বাচনী কাজ থেকে বিরত থাকবেন বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে দুই ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট শেষ হয়েছে। ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ও ২৩ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ভোট রয়েছে।

আগের ধাপে সংঘাতময় ইউপি ভোটের পর পরের ধাপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক সংসদ সদস্য এলাকায় অবস্থান করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

কমিশন বলছে, প্রার্থীদের প্রচারে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে তাদের কেউ কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা প্রচারিত হচ্ছে।

এর মধ্যে তৃতীয় ধাপের ভোটের এক সপ্তাহ আগে ইসির এমন তৎপরতা দেখা গেল।

সংসদ সদস্য বা আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনী এলাকায় সরকারি ও ব্যক্তিগত সফরে গেলে অথবা নির্বাচনী এলাকায় অবস্থানের ফলে আচরণবিধি পরিপন্থী কার্যক্রমের সম্ভাবনাসহ নির্বাচনী পরিবেশ প্রভাবিত হওয়ার শঙ্কা থাকে।

ইউপি ‘আচরণবিধিমালা ২০১৬’ এর বিধি ২২ অনুযাযী, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী প্রচার ও কাজে যেতে পারবে না।

ইতোমধ্যে প্রাপ্ত অভিযোগ ও তথ্য অনুসারে, যেসব এলাকায় সংসদ সদস্যদের প্রচার কাজে অংশ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে- তাদের অবিলম্বে এলাকা ছাড়ার জন্য ইসির নির্দেশনা রয়েছে।

ইতোমধ্যে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় ইউপি ভোটে আচরণবিধি ভঙ্গ করায় কিশোরগঞ্জের সাংসদ আফজাল হোসেনকে এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এমন পরিস্থিতিতে ‘ইউপি সাধারণ নির্বাচনে সংসদ সদস্য ও সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নির্বাচনী প্রচারণা বা নির্বাচনী কাজে অংশ গ্রহণ না করা’ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের এ চিঠি দেওয়া হয়।

এর অনুলিপি সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদেরও দেওয়া হয়েছে।

ভোটে গোলযোগ, সহিংসতা ও আচরণবিধি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে সবশেষ ১৯ নভেম্বর বিভাগীয় কমিশনারদের ডেকে বৈঠকও করে ইসি।

নির্বাচন ভবন

নির্বাচন ভবন

এর আগে সহিংসতা প্রতিরোধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা কমিশনকে জানাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়। সব বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করে ইসি।

কমিশন সভা সোমবার

সোমবার সকাল ১১টায় কমিশনের ৯০তম সভা রয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে এ সভা হবে। আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে- পঞ্চম ধাপে ইউপির সাধারণ নির্বাচন; পৌরসভা সাধারণ নির্বাচন; স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য নির্বাচন ও উপনির্বাচন এবং বিবিধ।

SCROLL FOR NEXT