শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এখন পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই ধাপের ভোট শেষ হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে বেশ কিছু এলাকায় সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনায় ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এমন প্রেক্ষাপটে এবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এল।
দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ নির্বাচনে সহিংসতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, “এর সঙ্গে যে সহিংসতার উপাদান যোগ হয়েছে, এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষ করে মন্ত্রী ও আইজিপিকে প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে। এবং ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য… (বলেছেন)।”
বৈঠকে দলের বিদ্রোহীদের বিষয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে সার্বিক রিপোর্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা প্রকাশ করেছেন বলেও সাংবাদিকদের জানান কাদের।
“বিদ্রোহীদের বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিদ্রোহীদের যারা মদদ দিয়েছে তারা শাস্তির আওতায় আসবে, বৈঠকে তা সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমনকি জনপ্রতিনিধি হলে মন্ত্রী হোক, এমপি হোক, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে নিচের ধাপে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ। এ নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে ভোট হয়। ইউপি সদস্য পদে ভোট হয় নির্দলীয়ভাবে।
নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ঠিক হয় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন বোর্ডের সভায়। তার আগে তৃণমূল পর্যায় থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের সুপারিশ আসে।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ না নেওয়ার মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের প্রতীক পাওয়া প্রার্থী আর বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘাত হয় প্রায় গোটা দেশেই।
নির্বাচনে এমন সহিংতার প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের দেওয়া বক্তব্যের বিষয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
“এবারকার ইউপি নির্বাচনে মাহবুব তালুকদার বলে আসছিলেন যে, ভোটারদের অনাগ্রহ। এখানে ৭০ থেকে ৭৩ ভাগ ভোটার উপস্থিত ছিলেন। ভোটারদের উপস্থিতি ভোটের প্রতি আগ্রহ আরও বাড়িয়েছে অতীতের চেয়ে এটা প্রমাণিত।”
এবছর দুই ধাপে এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ২০০ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন শেষ হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে আরও দুই ধাপে দুই সহস্রাধিক ইউনিয়নে ভোট রয়েছে।
২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে ভোট হবে এক হাজার ৭ ইউপি ও ২৩ ডিসেম্বর ৮৪০ ইউপির। ডিসেম্বরের মধ্যে চতুর্থ ধাপে প্রায় সহস্র ইউপির ভোট করতে তফসিল দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন