বাংলাদেশ

ডিসেম্বরের মধ্যেই ড্যাপ চূড়ান্ত: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

Byজ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

রোববার সচিবালয়ে ড্যাপ প্রণয়ন সংক্রান্ত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ডিসেম্বরের মধ্যে ড্যাপ চূড়ান্ত করা সম্ভব কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ড্যাপ নিয়ে সরকার এরই মধ্যে অনেক কাজ করে ফেলেছে।

“আমরা আশাবাদী, কারণ দাপ্তরিক অনেক কাজও শেষ হয়েছে। খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে। জেনেশুনেই এই সময় দেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে ড্যাপ চূড়ান্ত করব সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

আগামী ১৩ নভেম্বর এ নিয়ে জাতীয় কর্মশালা হবে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, “এরপর দাপ্তরিক কাজ শেষ করে ড্যাপের গেজেট প্রকাশ করব।”

ভবিষ্যতের কথা ভেবে রাজধানী ঢাকাকে বাসযোগ্য রাখতে ‘ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ)’ করছে রাজউক।

১৯৯২ সালে সরকারের নেওয়া মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯৯৫ সালে ঢাকা মহানগরী উন্নয়ন পরিকল্পনা (ডিএমডিপি) করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে ড্যাপ প্রণয়নের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০১০ সালের ২২ জুলাই গেজেট আকারে এটি প্রকাশ করা হয়।

এরপর বিশদ এ পরিকল্পনায় নানা অসঙ্গতির বিষয়টি আলোচনায় আসে। বিভিন্ন মহল থেকে এটি বাস্তবায়ন নিয়ে আপত্তি তোলা হয়।

সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর আরও বিস্তারিতভাবে ড্যাপ এর পর্যালোচনায় সরকার এ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পুর্নগঠন করে।

কমিটি এখন এ নিয়ে কাজ করছে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে ড্যাপ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে।

ড্যাপ চূড়ান্তের পর কোনো জটিলতা দেখা দিলে এর সমাধান কিভাবে হবে জানতে চাইলে রোববার এ কমিটির প্রধান ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল বলেন, “একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে এরিয়া নির্ধারণ করা হবে। যদি কোথাও পরিবর্তন বা সামঞ্জস্য আনার প্রয়োজন হয় নীতিমালার ভিত্তিতে কন্টিনিউয়াসলি তা করা হবে।”

ঢাকায় কর আরোপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকার সব জায়গায় হোল্ডিং ট্যাক্স ও অন্যান্য বিল সমান হওয়া উচিত নয়।

“হোল্ডিং ট্যাক্স সব জায়গায় সমান হবে কেন? গুলশানে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসের দাম বেশি হবে। কারণ সেখানে নাগরিকে সুযোগ-সুবিধা বেশি। যেসব এলাকায় নাগরিক সুবিধা বেশি সেখানে বাড়তি কর নিয়ে অন্য জায়গার উন্নয়ন করা যাবে।”

সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, নারায়ণঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং রাজউক ও অন্যান্য সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

SCROLL FOR NEXT