বুয়েটের বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইফতি বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ছিলেন।
রিমান্ডে থাকা ইফতি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে ঢাকার হাকিম আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ।
দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি মহানগর হাকিম সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউসন বিভাগের কর্মকর্তা উপকমিশনার জাফর হোসেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইফতি মোশাররফ সকাল আদালতে বিচারকের খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।”
জবানবন্দিতে এই আসামি কী বলেছেন- জানতে চাইলে জাফর বলেন, “কারও নাম বলেছেন কি না, নিজেকে জড়িয়েছে কি না বা নিজেকে বাইরে রেখে অন্যদের জড়িয়েছে কি না, একথা আমি বলতে পারব না।
“আমি জবানবন্দিটি দেখিনি। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জবানবন্দিটি এনে দিলে আমি সিলগালা করে রেখে দিয়েছি।”
জবানবন্দি নেওয়ার পর বুয়েটছাত্র ইফতিকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন বিচারক।
আবরার হত্যাকাণ্ডের পরপরই সোমবার যে ১০ জন গ্রেপ্তার হন, তার একজন হলেন ইফতি। তাকেসহ ওই ১০ জনকে পাঁচ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। তার মধ্যে ইফতিই প্রথম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।
বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে গত রোববার রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
আবরারের বাবার করা হত্যামামলায় এ পর্যন্ত ১৬ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, তার মধ্যে ইফতিসহ ১২ জন এজাহারভুক্ত আসামি।
মামলার আসামিদের মধ্যে সাতজন এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
আবরার হত্যার বিচার দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে রয়েছে। মামলার অভিযোগপত্র না দেওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষায় না যাওয়ার ঘোষণাও রয়েছে তাদের।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আলোচিত এই মামলার অভিযোগপত্র যত দ্রুত সম্ভব দেওয়া হবে।