যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনে আফগানিস্তান থেকে তালেবান প্রশাসন উচ্ছেদ হওয়ার পর ক্ষমতায় আসেন কারজাই। গণতান্ত্রিক ধারায় টানা দুই মেয়াদে কাবুল শাসনের পর প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অবসরে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন তিনি।
আফগানিস্তানে যখন চূড়ান্ত পর্বে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলছে তখনই ইরাকে মালিকি প্রশাসনের কাছ থেকে মসুল, তিকরিতসহ কয়েকটি এলাকার দখল নিয়েছে আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট সুন্নি বিদ্রোহীরা।
গত ১৪ জুন আফগানিস্তানে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় পর্বের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সব প্রক্রিয়া শেষে অগাস্টে নতুন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন কারজাই।
তার আগে বিদায়ী এ প্রেসিডেন্টের মুখোমুখি হন বিবিসি’র এক সাংবাদিক। কারজাই ক্ষমতা ছাড়ার পর ইরাকের সাম্প্রতিক ঘটনার মতো আফগানিস্তানেও কিছু হওয়ার আশঙ্কা আছে কিনা?- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “না, ওই ধরনের কিছু আদৌ হবে না। আফগানিস্তানে আল কায়েদার উপস্থিতি নেই।”
চলতি হিসেব-নিকাশ অনুযায়ী, ২০১৪ সালের শেষ দিকে আফগানিস্তান থেকে নেটো সেনাদের চলে যাওয়ার কথা। তাদের অনুপস্থিতিতে দেশটির সহিংসতার মাত্রা বাড়তে পারে বলে পর্যবেক্ষকরা সতর্ক করেছেন।
তবে কারজাই বলছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার সরকার আলোচনা চালিয়ে গেছে। তাদের সঙ্গে (তালেবান) চিঠি চালাচালি, মতবিনিময় এবং শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তবে সে ক্ষেত্রে কাঙিক্ষত শান্তি আসেনি এবং এককভাবে তিনি কিংবা তার সরকার বা জনগণের পক্ষে শান্তি আনা সম্ভব নয় বলেও মত কারজাইয়ের।
সেক্ষেত্রে কোনো কোনো ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা অব্যাহত থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
আফগানিস্তানের শান্তি প্রচেষ্টায় ২০১৪ সালের পরেও অংশ নিতে আগ্রহী মার্কিন প্রশাসন বা সেনাবাহিনী। তবে সে বিষয়টির সুরাহা এখনো করেননি কারজাই। আফগানিস্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিতের মূল দায়িত্ব আফগান নাগরিকদের বলে মত দেন তিনি।