প্যালেসের এক মুখপাত্র বলেন, প্রিন্স ফিলিপ নিজেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং রানি তাকে সমর্থন জানিয়েছেন।
আগামী মাসেই ৯৬ এ পা দিচ্ছেন প্রিন্স ফিলিপ। এর মাঝখানে আগের নানা কাজসহ এখন থেকে অগাস্ট পর্যন্ত নির্ধারিত দায়িত্বগুলো পালন করবেন তিনি। তবে এর পরে নতুন আর কোনও দায়িত্ব নেবেন না বা সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন না।
ওদিকে, রানি দাপ্তরিক কাজগুলো সম্পূর্ণভাবে পালন করে যাবেন বলে জানিয়েছে রাজপ্রাসাদ।
বাকিংহাম প্যালেস আরও জানিয়েছে, প্রিন্স ফিলিপ ৭৮০ টিরও বেশি সংগঠনের সদস্য কিংবা প্রেসিডেন্ট। এ সংগঠনগুলোর সঙ্গে তিনি সহযোগিতা করে যাবেন। কিন্তু সক্রিয় আর কোনও ভূমিকা পালন করবেন না। তবে সময়ে সময়ে তিনি প্রদর্শনী, মেলা, উৎসব কিংবা বিনোদোনমূলক কিছু কিছু অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন।
বাকিংহাম প্যালেসের ঊর্ধ্বতন রাজকর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রিন্স ফিলিপের অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ ঘোষণায় রাজরাজড়াদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।
তবে রাজপরিবার থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে রানি কিংবা প্রিন্স ফিলিপের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলে জানানো হয়েছে।
রানি ও ফিলিপ দম্পতি আগামী নভেম্বরেই বিয়ের ৭০ বছর উদযাপন করবেন। তার আগে সম্প্রতি কয়েকবছরে তারা ছেলে প্রিন্স চার্লস এবং নাতি প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারির ওপর রাজদায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে কাজের ভার কমাচ্ছেন।