উদ্ধার হয়নি ওয়াটার বাস ও ডুবে যাওয়া কার্গো

ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত ওজন আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনাকবলিত ওয়াটার বাস ও কার্গো উদ্ধার না করেই ফিরে গেছে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীক।

বরিশাল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2017, 03:19 PM
Updated : 24 April 2017, 02:50 AM

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর চরবাড়িয়া এলাকায় শনিবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে মুখোমুখি সংঘর্ষের পর ৫২৫ টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায় ‘মামুন-মাসুদ-১’ নামের কার্গোটি। আর তলা ফেটে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওয়াটার বাস ‘গ্রিন লাইন-২’।

ওয়াটার বাসটি প্রায় ৪০০ যাত্রী নিয়ে বরিশাল থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল। আর কর্গোটি যাচ্ছিল ঢাকা থেকে খুলনার নোয়াপাড়ায়।

দুর্ঘটনাকবলিত ওয়াটার বাসটি উদ্ধারে শনিবার রাতেই ঘটনাস্থলে যায় উদ্ধারকারী জাহাজ ‘নির্ভীক’।

নির্ভীকের কমান্ডার রফিকুল ইসলাম জানান, রাতে প্রথম দফায় ওয়াটার বাসটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।

“আর রোববার সকালে উদ্ধার কাজ শুরু হওয়ার আগেই জানা যায় ওয়াটার বাসের ওজন প্রায় সাড়ে ৬০০ টন। কিন্তু নির্ভীকের উদ্ধার ক্ষমতা আড়াইশ টন। তাছাড়া ডুবে যাওয়া কার্গোটিতে কয়লাই রয়েছে ৫২৫ টন।”

“তাই নির্ভীক ফিরিয়ে আনা হয়েছে,” জানিয়ে তিনি বলেন, “তবে ডুবে যাওয়া কার্গোটি চিহ্নিত করে একটি বয়া দেওয়া হয়েছে সেখানে।”

এ বিষয়ে গ্রিন লাইনের বরিশালের ব্যবস্থাপক বাদশা মিয়া বলেন, অর্ধনিমজ্জিত ওয়াটার বাসটিতে দুইটি ফাটল রয়েছে। ফাটল দুইটি লোহার পাতের মাধ্যমে সংস্কার করে দুটি কার্গোর সাহায্যে টেনে তোলা হবে।

তবে কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া কার্গোটি কীভাবে উদ্ধার করা হবে এব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এদিকে, নদীর পানিতে কয়লা মিশে পরিবেশ দূষনের আশঙ্কা করছেন অনেকে।

পরিবেশবাদীদের সংগঠন বেলার বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়ক লিংকন বায়েন বলেন, কয়লায় কার্বনসহ নানা বিষক্রিয়া রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কয়লা অপসারণ করা না হলে এর বিষক্রিয়া পানিতে মিশে নদীর জীববৈচিত্র ধ্বংস করতে পারে।