একই দ্বন্দ্বের জেরে শনিবার উপজেলায় অর্ধদিবস হরতাল আহ্বান করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ।
শাহজাদপুর থানার ওসি রেজাউল জানান, শাহজাদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারধর করার অভিযোগে তার চাচা এরশাদ আলী বাদী হয়ে শুক্রবার সকালে থানায় মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজয় মাহমুদকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমুল হক মিরুর ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
এরপর পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ভিপি রহিম ও ছাত্রলীগ নেতা বিজয়ের কর্মী-সমর্থকরা মেয়র মিরুর বাড়ি ঘেরাও করলে সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে আহত হন দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তিনি মারা যান।
আর আহত বিজয় মাহমুদকে ঢাকায় জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভিপি রহিম।
ওসি রেজাউল বলেন, বিজয় মাহমুদকে মারধর করার অভিযোগে মেয়র মিরু, তার ভাই হাসিবুল ইসলাম পিন্টু ও মিন্টুসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা পাঁচ-সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
“ইতোমধ্যেই মেয়রের ছোট ভাই হাসিবুল ইসলাম পিন্টু ও মিন্টুকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি মেয়রের শটগান জব্দ করা হয়েছে।”
এদিকে শুক্রবার সকালে মেয়রের বিরুদ্ধে পৌর শহরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ভিপি রহিম ও ছাত্রলীগ নেতা বিজয়ের কর্মী-সমর্থকরা।
পরে তারা শাহজাদপুর উপজেলায় শনিবার অর্ধদিবস হরতাল আহ্বান করেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ কাজল বলেন, ছাত্রলীগ নেতা বিজয়কে মারধর ও মেয়রের গুলি ছোড়ার প্রতিবাদে শনিবার উপজেলায় অর্ধদিবস হরতাল পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।