বুধবার জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারক মো. নজরুল ইসলামের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বালাগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালনকারী বিচারিক হাকিম মো. আতিকুল হায়দার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম আজহারুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বোয়ালজুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনহার মিয়াকে আসামি করেছেন তিনি।
ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী তপু দে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিচারক নজরুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে বালাগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বলা হয়, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া এবং আওয়ামী লীগ নেতা আনহার মিয়া সকাল ৯টার দিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে বালাগঞ্জের ডিএন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর কেন্দ্রের ভিতরে অবস্থান করছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল হায়দার তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন।
“কিন্তু আবদাল মিয়া, আনহার মিয়া ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এ সময় সেখানে থাকা ইউএনও আজহারুলও তাদের সঙ্গে যোগ দেন।”
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আনহার মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় দেখতে পাই উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে এক ব্যক্তির কথা কাটাকাটি হচ্ছে। এ সময় আমি এগিয়ে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করি। কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন বা অসদাচরণ করিনি।”
বালাগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, “আদালত থেকে মামলা সংক্রান্ত একটি কাগজ এসেছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও বিস্তারিত জানতে পারিনি।”