হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের সাত কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাঁধে এক হাজারের বেশি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এখানে পাশের নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের কিছু পরিবারও রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পাশের নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আফছার আলী ও জামায়াতের সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়া এই বাঁধে পাঁচটি টিউবওয়েল বসান।
সেখানে সরকারি পর্যায়ে বসানো পর্যাপ্ত টিউবওয়েল থাকলেও শুধু প্রচারের জন্য জামায়াত এ কাজ করে বলে এলাকাবাসীর ভাষ্য।
সানিয়াজান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক হাসেম আলী তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বন্যার্ত মানুষের জন্য অনেক টিউবওয়েল বসানো হয়েছে এখানে। এরমধ্যে ওরা (জামায়াত) পাঁচটি টিউবওয়েল বসায়।
“ডিমলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আফছার আলী ও সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়া রাতের অন্ধকারে ওই পাঁচটি টিউবওয়েল বসিয়েছিলেন।”
রোববার রাতে এলাকাবাসী সব টিউবওয়েল তুলে নিয়ে গেছে জানিয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “শুধু প্রচারের জন্য ওরা এ কাজ করেছেন। এই দুজনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় অভিযোগ দেওয়া হবে।”
ডিমলার উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আফছার আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের ইউনিয়নের নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত বেশকিছু পরিবার ওই বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। মূলত তাদের সুবিধার্তে ওই পাঁচটি টিউবওয়েলসহ ডিমলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ৫০টি টিউবওয়েল বসানো হয়েছে।”
কিন্তু হাতীবান্ধার আওয়ামী লীগ নেতারা দুটি টিউবওয়েল তুলে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
টিউবওয়েলে দলের নাম লেখার বিষয়ে তিনি বলেন, “কেউ কিছু দিলে তাতে তার নাম লেখা থাকলে দোষের কী? আমরা ওই টিউবওয়েলগুলি দিয়েছি, তাই টিউবওয়েলের গায়ে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ লিখে দিয়েছি।”
হাতীবান্ধার সানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, “ওই টিউবওয়েলগুলো কবে বসানো হয়েছে তা আমি জানতাম না। তবে গত (রোববার) রাতে সব টিউবওয়েল তুলে নিয়ে নিয়ে গেছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী প্রকাশ কান্তি রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ বাঁধে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নয়টি, বেসরকারি সংস্থা প্লান বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ৫০টি, এসকেএফ ১০টি এবং সানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদ এলজিএসপি প্রকল্পের সাতটি টিউবওয়েল বসিয়েছে।