ভারতের সেই হাতি এখন বগুড়ায়

ভারত থেকে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে ভেসে আসা বুনো হাতিটি এখন বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার একটি চরে আটকা পড়েছে।

জামালপুর প্রতিনিধিবগুড়া ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2016, 06:02 PM
Updated : 16 August 2016, 09:59 AM

এরমধ্যে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানালেও হাতিটি উদ্ধারে এদেশের কোনো কর্তৃপক্ষের চেষ্টার খবর পাওয়া যায়নি। উদ্ধার প্রচেষ্টা এখনও দুদেশের মধ্যে কথা চালাচালিতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।

কুড়িগ্রাম হয়ে ব্রহ্মপুত্রের আশপাশ এলাকা ঘুরে হাতিটি এখন রয়েছে সারিয়াকান্দির চর কাশিয়াবাড়িতে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে লোকজন হাতিটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বগুড়া সামজিক বনবিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, গত ২৬ জুন কুড়িগ্রামে ব্রম্মপুত্র নদের চরবাগুয়া চরে বন্য পানিতে ভেসে আসে হাতিটি। প্রায় এক সপ্তাহ ব্রহ্মপুত্র নদের এক চর থেকে অন্য চরে ঘোরাঘুরি করার সময় হাতিটি গণমাধ্যমে আলোচনায় আসে।

চর কাশিয়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা বকুল মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে চরের লোকজন কাশবনের মধ্যে হাতিটিকে মহিষ ভেবে আনতে যায়। কাছে যেতেই তেড়ে আসলে তারা পালিয়ে আসে।

“এরপর আশপাশের চর এলাকার উৎসুক লোকজন নৌকায় করে সেখানে গিয়ে হাতিটি দেখছে। কেউ কেউ হাতিটির খাবারের জন্য কলাগাছ কেটে দিয়েছে।”

বগুড়া সামজিক বনবিভাগের কর্মকর্তা মোল্লা মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে জানানো হয়েছে। এর আগে থেকেই বন্য হাতির ভেসে আসার পুরো বিষয় বন অধিদপ্তর এবং বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের নজরে রয়েছে।

“বগুড়ায় আসার পর বনবিভাগের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, যেখানে হাতিটির অবস্থান সেখান থেকে এটি উদ্ধার করা সম্ভব নয়। অবস্থান জানতে শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ থেকে বন বিভাগের একটি টিম হাতিটির অবস্থান পর্যবেক্ষণে যায়। হাতটির অবস্থান বগুড়ার শেষ সীমানায় জামালপুরের ইসলামপুরের কাছে।  

নদীর তীরে যদি হাতিটি না উঠে আসলে এটিকে উদ্ধার করা সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করেন।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ ঢাকার বিভাগীয় কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তারা নজরে রাখছেন এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে ভারতীয় বনবিভাগের প্রতিনিধি দল আসতে পারে।

“হাতিটি বগুড়ার চরে আসার পর বিষয়টি আসামের বনবিভাগকে জানানো হয়েছে। এছাড়া হাতিটির প্রাণরক্ষা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

“শিগগিরই ভারতীয় বনবিভাগের একটি টিম আসার কথা রয়েছে। এবিষয়ে আলোচনাও চলছে।”

তিনি জনান, হাতিটির গতিবিধি লক্ষ্য রাখতে বনবিভাগ কাজ করছে এবং হাতিটির পরবর্তী অবস্থান যে জেলায় হতে পারে সেখানকার প্রশাসনের সঙ্গে বনবিভাগ যোগাযোগ রাখছে।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার ওসি ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, হাতিটি চরে আটকা পড়ার বিষয়টি বনবিভাগ সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।