রোববার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ আদালতের বিচারক মো. জহুরুল হক এক শুনানি শেষে অভিযোগপত্রটি আমলে নেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
দুদকের করা এই মামলায় মওদুদের ভাই মনজুর আহমেদও আসামি। সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ এদিন আদালতে উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন তার ভাই।
বিচারক পলাতক মনজুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২২ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশকে সময় দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই আদালতের পেশকার ইফতেখার আহমেদ।
হারুনুর রশিদ বলেছিলেন, গুলশানের যে বাড়িটিতে মওদুদ আহমদ ও তার পরিবার থাকছেন, তার প্রকৃত মালিক ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান। ১৯৬০ সালে তৎকালীন ডিআইটির কাছ থেকে এই বাড়ির মালিকানা তিনি (এহসান) লাভ করেন।
পরবর্তীতে ১৯৬৫ সালে এই বাড়ির মালিকানার কাগজপত্রে এহসানের পাশাপাশি তার স্ত্রী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ইনজে মারিয়া প্ল্যাজের নামও অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এহসান স্ত্রীসহ ঢাকা ত্যাগ করেন। তারা আর ফিরে না আসায় ১৯৭২ সালে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়।
১৯৭৩ সালের ২ অগাস্ট মওদুদ তার ইংল্যান্ডপ্রবাসী ভাই মনজুরের নামে একটি ভুয়া আমমোক্তারনামা তৈরি করে বাড়িটি সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ নেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।