মুক্তিযুদ্ধে নৃশংস ও বর্বর গণহত্যা চালিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত সাবেক এই আল বদর নেতাকে শনিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃতুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে আনন্দ মিছিল বের হয়ে টিএসসি ঘুরে শাহবাগে শেষ হয়।
মিছিলের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, নানা ষড়যন্ত্রের মধ্যে সব বিদেশি লবিস্টদের উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে তরান্বিত করেছেন। যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা এবং কামারুজ্জামানে রায় কার্যকর করেছেন।
“এই কামারুজ্জামানের সন্তানেরা আমাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বলেছিলো, ‘যদি পারিস ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আমার বাবার বিচার করিস’। আজকে আমরা তাদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছি।
“কামারুজ্জামানের সন্তানেররা আমরা তোমাদের দেখালাম, বিচারে দণ্ড হয়েছে এবং তা কার্যকর করেছি। তোমার বাবা যাদের ধর্ষণ করেছিল তাদের সন্তানেরা বিচার করেছে।”
‘বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের কোনো ঠাঁই হবে না’ ঘোষণা দিয়ে ইমরান সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, “যুদ্ধাপরাধী সংগঠন নিষিদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধাপরাধী সংঠন রাজনীতি করতে পারবে না।”
যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের শক্তির সব ধরনের নাশকতার বিষয়ে দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান মঞ্চের মুখপাত্র।
“যুদ্ধাপরাধীদের চেলা-পোলারা কোনো ধরনের নাশকতা চালালে প্রতিহত করতে হবে। তাদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে।”