‘বিরতিহীন’ পরীক্ষা সরকারের পর্যালোচনায়

কোনো বিরতি না রেখে পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়টি সরকার পর্যালোচনা করছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Sept 2014, 04:05 PM
Updated : 7 Sept 2014, 04:05 PM

রোববার সংসদে মো. সোহরাব উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা বিরতিহীন ও কম সময়ে নেয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।”

এ বছর এইচএসসির প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে গত ২ জুলাই সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ‘বিরতিহীনভাবে’ পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

তদন্ত প্রতিবেদনে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে তদন্ত কমিটি বেশ কয়েকটি সুপারিথ করে। এসবের মধ্যে সম্ভব হলে পরীক্ষার মধ্যে কোনো গ্যাপ না রেখে দিনে দুটি করে পরীক্ষা নেয়ারও সুপারিশ করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে মিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এবং বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হলে পাবলিক পরীক্ষায় বিরতি বন্ধ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।

পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- রাজশাহীর সাংসদ মো. আব্দুল ওয়াদুদের এ প্রশ্নের জবাবে নাহিদ পরীক্ষার সময়ের ব্যাপ্তি কমিয়ে আনার কথা বলেন।

“প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মডারেশনে নিয়োজিত শিক্ষকদের সম্মানী ও সুযোগ-সুবিধা আকর্ষণীয় করা, শিক্ষাবোর্ডে উপস্থিত থেকে প্রশ্ন প্রণয়নের কাজ করা এবং গোপনীয়তা রক্ষায় প্রশ্ন প্রণয়ন ও পরিবেশনকারীর কাছ থেকে লিখিত অঙ্গিকার নেয়া হবে।”

ফাইল ছবি

এছাড়া বোর্ডভিত্তিক প্রশ্ন প্রণয়ন, প্রশ্ন মডারেশন কক্ষে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন, এমসিকিউ প্রশ্নের নম্বর কমিয়ে আনা, পরীক্ষাসূচি শিক্ষাপঞ্জিতে অন্তর্ভূক্ত করে বছরের শুরুতেই তা জানিয়ে দেয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

বিজি প্রেসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও প্রশ্নের নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিজি প্রেসে গোপনীয় কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে ছয় মাস পরপর গোপন প্রতিবেদন ডিজিএফআইকে দিয়ে সংগ্রহ করতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “প্রশ্ন সংরক্ষণ কক্ষে দ্বৈত তালা-চাবি ব্যবহার, পরীক্ষা কেন্দ্র সীমিত রাখা, ঝুঁকিপূর্ণ ও দূরবর্তী কেন্দ্র বাতিলের বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে বলা হয়েছে।”

এছাড়া পাবলিক পরীক্ষার বিষয় সংখ্যা যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কেন্দ্রে প্রশ্ন পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে সংসদে জানান মন্ত্রী।

পঞ্চানন বিশ্বাসের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “২০২০ সালের মধ্যেই ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় পড়াশোনা করবে। আমরা কারিগরি শিক্ষাও ওপর জোর দিয়েছি।”

এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিক বেতন ও টিউশন ফি নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে তা সহনীয় রাখতে বলা হবে।