পুলিশ হামলা করে, চিনিয়ে দেয় সরকার সমর্থকরা: ইমরান

পুলিশ ‘অন্যায়ভাবে' গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে অভিযোগ করে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকরা তাতে পুলিশকে সহযোগিতা করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 April 2014, 05:20 PM
Updated : 4 April 2014, 06:20 PM

শুক্রবার বিকালে শাহবাগে পূর্বঘোষিত সমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

ইমরান বলেন, “আমাদের ওপর যারা হামলা করেছে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। ৫ ফেব্রুয়ারি যখন আমরা কাঙ্ক্ষিত রায় পাইনি তখন আমরা আন্দোলনে নেমেছিলাম। আন্দোলনে যেখানে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো বিষয়কে অ্যাড্রেস করা দরকার ছিল সেটা আমরা করেছি।

“তখনো আমরা জামায়াত নিষিদ্ধের কথা বলেছি, তাদের সকল আর্থিক উৎস বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেছি।”

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী ও তাদের দোসরদের সঙ্গে কেউ আপোষ করলে গণজাগরণ মঞ্চ তার বিরোধিতা করেছে উল্লেখ করে ইমরান এইচ সরকার বলেন, “সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা নেয়া হলে আমরা তার বিরোধিতা করি।

“সরকার আমাদের এই বিরোধিতাকে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা মনে করেছে। কিন্তু আসলে আমরা আমাদের আগের অবস্থানেই রয়েছি।”

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর দুই দফা হামলা হয়েছে। প্রথম দফায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে হামলা হয়স এবং তারপর শাহবাগ থানার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় হামলা হয়।

“আজ আমরা আমাদের উপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে শাহবাগে আসি। পুলিশ আমাদের সমাবেশ করতে না দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে। পুলিশের সঙ্গে সরকার দলীয় লোকজন ছিল, তারা আমাদের লোকজনকে চিনিয়ে দিচ্ছিলো। তারাও হামলায় অংশ নিয়েছে।”

পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকদের হামলায় জাগরণ মঞ্চের ১০ জনের মতো আহত হয়েছেন বলে ইমরান।

তিনি বলেন, মঞ্চের অন্যতম সংগঠক মাহমুদুল হক মুন্সীর পাজরের হাড় ভেঙে গেছে।

এছাড়া তাদের ১০ জনের মতো কর্মী-সংগঠককে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে বলে জানান ইমরান।

গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিপক্ষ হয়ে আবির্ভূত হওয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কেন্দ্রীয় সংসদের নিজেদের গণজাগরণ মঞ্চ দাবি করার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইমরান বলেন, “প্রধানমন্ত্রীও আমাদের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্ম হয়ে মোমবাতি জ্বালিয়েছিলেন। এখানে এক সময় সরকার দলের লোকজনও এসেছিল।

“তাই বলে এখানে যারা এসেছিলেন তাদের রাজনৈতিক পরিচয় চলে যায়নি। আমাদের ওপর হামলাকারীরা নিজেদের যে পরিচয়ই দিক না কেন তারা মূলত সরকার দলের কর্মী হিসাবেই কাজ করে।”