এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্যও তারা নির্ধারণ করেছেন সেই অঙ্গীকারকে ঘিরে, ‘রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের অনিঃশেষ’।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় অনুষ্ঠিত কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
প্রতি বছরই পহেলা বৈশাখে বাঙালির চিরায়ত বর্ষবরণ উৎসবে এই মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। রাজধানীবাসী ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে আসেন এই শোভাযাত্রায় যোগ দিতে।
এবার যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিকেই শোভাযাত্রায় ফুঁটিয়ে তোলা হবে রূপকের মাধ্যমে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পহেলা বৈশাখ সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে বের করা হবে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা।
২৫তম বর্ষের এ শোভাযাত্রা হবে তরুণ প্রজন্মের নবজাগরণকে সামনে রেখে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “সমস্ত অশুভকে পায়ে দলে বাঙালি ওড়াবে বিজয় পতাকা এই হোক আমাদের নতুন বছরের প্রার্থনা।”
তিনি জানান, এবার সারা দেশের সব মঙ্গলশোভাযাত্রার স্লোগান একই থাকবে। শোভাযাত্রার উপকরনেরও থাকবে সঙ্গতি। চারুকলা থেকে শোভাযাত্রা বের হবে সকাল ৯টায়। একই সময়ে বের হবে ঢাকার মিরপুর, উত্তরা ও দনিয়া থেকেও।
সারাদেশে সকাল ৯টায় একযোগে শোভাযাত্রা বের করার অনুরোধ জানান কমিটির আহ্বায়ক।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা ও বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবুল বারক আলভী, শিল্পী রফিকুন্নবী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু ও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ঝুনা চৌধুরী।
সঞ্চালনা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ।