রোববার ভোর ৬টায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, রাজীবের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
জাতীয় সংগীতের আগে ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে রওশন ঝুনু বলেন, “রাজীবকে হারানোর শোককে আমরা শক্তিতে পরিণত করে এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
রাজীবকে ‘এই প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ’ অভিহিত করে তিনি বলেন, “আমরা আর কোনো লাশ দেখতে চাই না। এই আন্দোলনে আমাদের আর কোনো সহযোদ্ধার গায়ে যেন আর এতটুকু অাঁচড় না লাগে। তাহলে এর পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ হবে।”
রোববার বিকাল ৩টায় এই স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করা হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।
এ সময় অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভের নকশাটি সবার সামনে তুলে ধরেন ব্লগার নজরুল ইসলাম সুজন।
জাতীয় সঙ্গীতের পর ‘রাজীবের রক্ত/বৃথা যেতে দেব না’, ‘লাল সবুজের পতাকায়/রাজীব তোমায় দেখা যায়’, ‘রক্তেভেজা পতাকায়/রাজীব তোমায় দেখা যায়’ ইত্যাদি স্লোগানে শুরু হয় নতুন দিনের আন্দোলন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার পর ওই রায় প্রত্যাখ্যান করে শাহবাগ মোড়ে এই আন্দোলন শুরু করে ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্ক। ধীরে ধীরে তা রূপান্তরিত হয় জনতার আন্দোলনে।
জামায়াতই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে রাজীবের বন্ধু ও স্বজনরা দাবি করেছেন।
স্থপতি রাজীবে হত্যাকাণ্ডে তীব্র ক্ষোভ উঠেছে শাহবাগে। তার স্মরণে সকালে কালো ব্যাজ পড়েছেন আন্দোলনকারীরা। বিকালে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে শাহবাগেই রাজীবের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া সোমবার কালোব্যাজ ধারণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতাল প্রতিহত করতে সবাইকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছে শাহবাগের আন্দোলনকারীরা।