মঙ্গলবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি সৈয়দ আফসার জাহানের বেঞ্চ এ রায় দেয়।
রায়ে আদালত ক্যাফেলি ডেটেড টি এন্ড ল্যান্ড লিমিটেডের ২৩৭ কোটি টাকা এবং এস আলম স্টিল লিমিটেডের কাছ থেকে ৬০ কোটি টাকা নেওয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেছে।
আদালত রায়ে বলেছে, সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষের সংবিধান বহির্ভূত কোনো ক্ষমতা নেই। সব ক্ষমতা সংবিধান অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হবে।
আদালত আরো বলেছে, সংবিধানের ৮১, ৮২ ও ৮৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারো কাছে কোনো পাওনা না থাকলে সরকার কোনো টাকা আদায় করতে পারবে না। আর পাওনা থাকলে বিষয়টি নিষ্পত্তি না করে সরকার টাকা আদায় করতে পারবে না।
রায়ে বলা হয়, সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাজ হচ্ছে দৈনন্দিন কাজ সম্পাদন করা। আইন বহির্ভূত উপায়ে কারো কাছ থেকে টাকা আদায় ওই কাজের মধ্যে পড়ে না। তাই ওই দুটি কোম্পানির কাছ থেকে টাকা আদায়ের বিষয়টি ক্ষমতা বহির্ভূত।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী আব্দুল বাসেদ মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭-০৮ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত কোম্পানি দুটির কাছ থেকে ৫৪ টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে ২৯৭ কোটি টাকা আদায় করে। হাইকোর্ট ওই টাকা আদায়কে অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করেছে।"
বাসেদ মজুমদার আরো বলেন, "বাংলাদেশ ব্যাংক ওই দুটি কোম্পানির কাছ থেকে এই টাকা নিয়েছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা তাদের কাছ থেকে টাকাগুলো আদায় করেছে।"
তিনি বলেন, "আদালতের রায় অনুযায়ী আগামী তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে এই টাকা কোম্পানি দুটিকে ফেরত দিতে হবে।"
কোম্পানি দুটির রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ১৩ এপ্রিল রুল জারি করে। মঙ্গলবার আদালত এ রায় দেয়।
সরকার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন রাশেদ জাহাঙ্গীর। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আব্দুল বাসেদ মজুমদার ও মাহামুদুল ইসলাম।