বিচারপতির উল্টোপথের গাড়িতে চাপা মটরসাইকেল আরোহী

রাজধানীতে উল্টোপথ দিয়ে আসা এক বিচারপতির গাড়ির নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন মটরসাইকেল আরোহী এক যুবক।

অপরাধ বিষয়ক প্রধান প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2017, 03:36 PM
Updated : 2 July 2017, 04:50 PM

রোববার সন্ধ্যায় রূপসী বাংলা হোটেল ক্রসিংয়ের কাছে এই দুর্ঘটনায় আহত জুবিন ফয়সলকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানিয়েছে পুলিশ।

রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উল্টোপথে আসা গাড়িটি একজন বিচারপতির। তবে তিনি সে সময় গাড়িতে ছিলেন না।

ওসি বিচারপতির নাম প্রকাশ না করলেও গাড়িটি হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের বলে আদালতের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

পুলিশের লালবাগ ট্রাফিক জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার হারুণ অর রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মিতসুবিসি জিপ গাড়িটি মিন্টো রোডের দিক থেকে উল্টোপথে আসছিল বাংলামটরের দিকে যাওয়ার জন্য। একই সময় রূপসী বাংলা মোড় থেকে মিন্টো রোডের দিকে যাওয়ার জন্য মটরসাইকেল নিয়ে বাঁক নিয়েছিলেন ফয়সল।

“মটরসাইকেলটি সরাসরি জিপের নিচে চলে যাওয়ায় গুরুতর আহত হন ফয়সল।”

ফয়সল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগে কাজ করেন বলে জানান তিনি।

বিচারপতির গাড়িচালক কামালকে ট্রাফিক পুলিশ আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে।

তবে রমনা থনার ওসি বলছেন, “চালককে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। আহত ব্যক্তির চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করছেন গাড়ির মালিক।”  

এই দুর্ঘটনার খবর প্রকাশের পর ওই বিচারপতির এক স্বজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনার সময় বিচারপতির পরিবারের কোনো সদস্য গাড়িতে ছিলেন না। ঘটনার পরপরই আহত যুবককে তাদের তত্ত্বাবধানেই গাড়িতে করে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

“এছাড়া তারা সব সময় রোগীর খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।”

তবে রঙ্গন নামে ফয়সলের এক স্বজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা অন্য কারও কোনো সাহায্য পাচ্ছেন না। নিজেরাই দৌড়াদৌড়ি করছেন।

ফয়সলকে বেশ কয়েক ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাকে এই হাসপাতাল থেকে অন্য কোথাও নেওয়া যায় কি না সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে।

একজন বিচারপতির গাড়ির সাথে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে শুনলেও ওই বিচারপতির নাম জানেন না রঙ্গন।

 এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আগে রোগীকে সুস্থ করে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন তিনি।