কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ জানান, শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে তারা বাড়ি চলে যান।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতের নির্দেশে ৯ কিশোরকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জিম্মায় বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
তোফায়েল আহমদ বলেন, বুধবার মিয়ানমার থেকে আসা এই ১৫৫ জনকে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রাখা হয়। ওইদিন রাতেই তাদের ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্ট কাজ শেষ করা হয়।
“পরে তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে বৃহস্পতিবার রাত জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন।
তোফায়েল আহমদ আরও বলেন, ফেরত আসাদের মধ্যে কক্সবাজারসহ ১৩ জেলার বাসিন্দা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ৭০ জন দালালের সহায়তায় পাচারের শিকার হন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এসব দালালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
“বাড়ি পৌঁছার পর তাদের নিজ নিজ জেলায় মামলা দায়ের করতে এজাহারও প্রস্তুত করে দেওয়া হয়েছে।”
আইওএম এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার আসিফ মুনীর বলেন, ফেরত আনাদের মধ্যে যেসব জেলার লোকজন বেশি রয়েছে তাদের একই বাসযোগে এবং অন্যদের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বাড়ি ফিরতে আইওএম ব্যবস্থা নেয়।
থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় পাচারকারীদের ক্যাম্পে অভিবাসন প্রত্যাশীদের গণকবর নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনার মধ্যে গত ২১ মে সাগরে ভাসমান অবস্থায় ২০৮ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে মিয়ানমার নৌবাহিনী। এদের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত ১৫০ জনকে গত ৮ জুন এবং ৩৭ জনকে ১৯ জুন ফেরত আনা হয়।
এরপর ২৯ মে সাগরে আরেকটি নৌকা থেকে ৭২৭ জনকে উদ্ধার করে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। সে সময় নৌকার সবাই বাংলাদেশি বলে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও পরে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা পরিচয় যাচাই বাছাই করে ১৫৫ জনের জাতীয়তা সম্পর্কে নিশ্চিত হন।
বুধবার (২২ জুলাই) তাদের ফেরত আনা হয়।
আসিফ মুনীর জানান, ২৯ মে উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত আরও ১৫৯ জনকে ৩০ জুলাই ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।