বিশ্ব

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় লালু প্রসাদ দোষী

Byনিউজ ডেস্ক

রাচিঁর বিশেষ সিবিআই আদালত শনিবার বিকালে দেওঘর কোষাগার থেকে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় লালু প্রসাদসহ ১৬ জনকে দোষীসাব্যস্ত করেন বলে জানায় এনডিটিভি।

রায় ঘোষণার পরপরই লালুকে রাচিঁর বীরসা মুণ্ডা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে দেওঘর কোষাগার থেকে প্রায় ৮৫ লাখ রুপি আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা হয়।

লালুর পার্টি রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতারা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

দলের জ্যেষ্ঠ নেতা জগদানন্দ সিং সাংবাদিকদের বলেন, “বিচারবিভাগ এবং আজ যে রায় দেওয়া হয়েছে তার প্রতি আমরা পূর্ণ সম্মান জানিয়ে বলছি, এটাই চূড়ান্ত নয়। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।”

তিনি অভিযোগ তুলে আরও বলেন, “ইচ্ছা করে শনিবার রায় ঘোষণা করা হয়েছে, যাতে আমরা জামিনের জন্য আদালতের দ্বারস্ত হতে না পারি। বড়দিন ও নিউ ইয়ারের ছুটি মিলিয়ে আগামী ১০ দিন আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।”

 

এরআগে ২০১৩ সালের অক্টোবরে এ ধরনের আরেকটি মামলায় লালু প্রসাদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

১৯৯০ সালে চাইবাসা কোষাগার থেকে প্রতারণা করে ৩৭.৭ কোটি রুপি আত্মসাতের অভিযোগে ওই মামলা হয়।

১৯৯৬ সালে সিবিআই ওই মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করে। ১৯৯৭ সালে সিবিআই তদন্তে লালু প্রসাদের নাম আসলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।

ওই মামলায় লালু প্রসাদ ছাড়াও বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র, এমপি জগদীশ শর্মা, চার জন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস কর্মকর্তা, একজন সাবেক আয়কর কর্মকর্তাসহ ৪৫ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

সেবার দুই মাস কারাভোগের পর সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন লালু প্রসাদ।

SCROLL FOR NEXT