বিশ্ব

তাইওয়ানে ভূমিকম্পে নিহত ২৬,ধ্বংসস্তূপে আটকা শতাধিক

Byনিউজ ডেস্ক
দক্ষিণ তাইওয়ানের তাইনানে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ভবনে উদ্ধার তৎপরতা। ছবি: রয়টার্স

বিবিসি’র খবরে বলা হয়, আটকা পড়া অন্তত ১২০ জনের মধ্যে ২৯ জনের কাছে পৌঁছানো সম্ভব বলে উদ্ধারকারীরা মনে করছেন। বাকিরা ধ্বংসস্তূপের অনেক নিচে আটকা পড়েছে।

শনিবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার এই ভূমিকম্প হয়।

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬জন হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

বিবিসি ২০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। নিহতদের মধ্যে ১০ দিনের একটি শিশুও রয়েছে।

এছাড়া, ১৮ ও ২৩ বছর বয়সী দুই বোনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।

ধসে পড়া আবাসিক ভবন গোল্ডেন ড্রাগন অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স থেকে রোববারও কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রোববার ২০ বছর বয়সী হুয়াং কুয়াং-উইই কে উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তুপ থেকে টেনে তুলছে।

উদ্ধারকর্মীদের সহায়তায় ২০ বছর বয়সী আরেক তরুণ কুও নিজেই ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে উপরে উঠে আসতে সক্ষম হন।

উভয়কেই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টর্স।

ধ্বংসস্তুপের সামনে মেয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন ৪২ বছর বয়সী নারী চ্যাং। ধসে পড়া ১৭ তলা ভবনের পঞ্চম তলায় তার মেয়ে বাস করত।

চ্যাং রয়টার্সকে বলেন, “সে আমার ফোনের জবাব দিচ্ছে না…..আমি আমার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে শক্ত থাকার চেষ্টা করছি। তাকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আমি এটাই করে যাব।”

ধ্বংসস্তূপ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় পাঁচশ মানুষ। তাদের মধ্যে অন্তত ৯২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল দক্ষিণাঞ্চলীয় তাইনান শহর থেকে ৪৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ভূপৃষ্ঠের ২৩ কিলোমিটার গভীরে।

পরে আরও কয়েকটি পরাঘাত অনুভূত হয়েছে বলে তাইওয়ানের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে।

ভূমিকম্পে তাইনান শহরের আরও নয়টি বহুতল ভবন হেলে পড়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে আটশ’র বেশি সেনা সদস্য উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

তাইনানে প্রায় ২০ লাখ মানুষের বসবাস।

এর আগে ১৯৯৯ সালে তাইওয়ানে বড় ধরণের ভূমিকম্পে ২৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়।

SCROLL FOR NEXT