সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতাদের জনপ্রিয়তার একটি গ্রাফ প্রদর্শন করেন পিটিআই প্রধান ইমরান খান।

|

ছবি: টুইটার

)<div class="paragraphs"><p>সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতাদের জনপ্রিয়তার একটি গ্রাফ প্রদর্শন করেন পিটিআই প্রধান ইমরান খান।</p></div>
বিশ্ব

সেনাবাহিনীর স্থাপনায় হামলার নিন্দা ইমরানের, তদন্ত দাবি

Byনিউজ ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান সেনাবাহিনীর স্থাপনায় হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

ক্ষমতাসীন পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) সেনাবাহিনীকে বিরোধীদলের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়ে পিটিআইকে রাজনীতির মূল স্রোত থেকে অপসারিত করতে চায় বলে বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছেন তিনি। 

দুর্নীতির একটি মামলায় গত ৯ মে ইমরানকে গ্রেপ্ত‍ারের পর তার দলের কর্মীসমর্থকরা দেশজুড়ে যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল সেই সময়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি স্থাপনায় ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষ ওই সহিংসতার জন্য পিটিআই কর্মীদের দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় চালাচ্ছে।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দলের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ‘কোনো বিরোধ’ নেই।

গ্রেপ্তারের ও জামিনে মুক্তির পর তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে ইমরান বলেন, তিনি কারও সঙ্গে কোনো সংলাপে বসছেন না, কারণ তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন ‘শুধু নির্বাচনের বিষয়েই কথা হবে, অন্যকিছু নয়।’  

পিডিএম সামরিক বাহিনীর সহায়তায় পিটিআইকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে, ফের এমন অভিযোগ করে তিনি এই প্রবণতাকে দেশের জন্য ‘বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেন। এটি ১৯৭১ সালের পাকিস্তান ভেঙে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।  

তিনি বলেন, “কেউ যদি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে, তাহলে দেশ পরাজিত হবে।”  

লাহোরে কোর কমান্ডারের বাড়িসহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার নিন্দার পাশাপাশি ইমরান একটি স্বাধীন কমিশনের মাধ্যমে ৯ মে-র দাঙ্গার বিস্তারিত তদন্ত দাবি করেন।

তিনি বলেন, “আমিই আগেই বলে দিচ্ছি, যে কোনো সুষ্ঠু তদন্তে এটি বের হবে যে ওই হামলাগুলো ছিল পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।” 

তাদের দাবির সমর্থনে তার দল তদন্ত কমিশনের কাছে প্রমাণ তুলে ধরবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, দাঙ্গাকারীদের থামাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য পুলিশ ও সেনাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় সরকারকে অবশ্যই সিসিটিভি ফুটেজ সরবরাহ করতে হবে।

তিনি বলেন, “পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় পাঞ্জাবের সভাপতি ইয়াসমিন রশীদ ও আমার বোনেরা লোকজনকে ভেতরে না গিয়ে ভবনটির (কোর কমান্ডারের বাড়ির) বাইরে থেকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছিল।” 

তার লাহোরের জামান পার্কের বাড়িতে ‘সন্ত্রাসীরা’ লুকিয়ে আছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে ইমরান বলেন, “তার বাড়িতে যদি সন্ত্রাসীরা লুকিয়ে থাকে তাহলে সরকার (পাঞ্জাব) তাদের নাম বলুক। তত্ত্বাবধায়ক সরকার (পাঞ্জাবের) তাদের পরিচয় প্রকাশ করছে না, কারণ তারা নিজেদের সঙ্গে ৩০-৪০ জন লোক নিয়ে আসবে আর পরে আমাকে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করবে।

“শেষবার যখন তারা জোর করে আমার বাড়িতে প্রবেশ করেছিল, তখনও কালাশিনিকোভ রাইফেল ও পেট্রল বোমা রেখে দিয়ে তারা এমনটি করেছিল, আবারও তাই করতে চায়।”  

তিনি বলেন, স্বাধীন একটি তদন্ত কমিশন এটিও তদন্ত করে নিশ্চিত করবে কারা ২৫ জন আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে এবং আরও বহু মানুষকে আহত করেছে।

আরও খবর:

SCROLL FOR NEXT