আপাতত এর ব্যবহার সীমিত করা হচ্ছে। চালুর চতুর্থ বছরের মাথায় এই সেবা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হল।
ভাইন-এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ ছয় সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করতে পারেন, যা একটি লুপের মধ্যে প্লে হয়।
এই পদক্ষেপ নিয়ে কোনো কারণ প্রদর্শন করেনি টুইটার। কিন্তু এ খবর প্রকাশের আগের বৃহস্পতিবার তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির ধীর গতির কারণ দেখিয়ে তাদের কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয়।
“সামনের মাসের মধ্যে আমরা ‘ভাইন’ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন-এর ব্যবহার বন্ধ করে দেব”- এক বিবৃতিতে এমনটাই বলা হয় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।
রাস ইউসুপভ, ভাইন-এর তিন প্রতিষ্ঠাতার একজন এই পদক্ষেপ সম্পর্কে বলেন, “আপনারা প্রতিষ্ঠানটি বিক্রয় করবেন না”।
২০১২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর আগে টুইটার ভাইন-কে তিন কোটি ডলারের বিনিময়ে অধিগ্রহণ করে। এটি টুইটারের প্রধান প্লাটফর্মে আলাদাভাবে সাধারণ ভিডিও দেখাসহ সরাসরি ভিডিও দেখার সুবিধাও যোগ করে।
“মাত্র ১৪০ শব্দের বাধ্যবাধকতা দিয়ে টুইটার যোগাযোগকে সীমিত করে দিয়েছে। পরবর্তীতে ভাইন দিয়েও তারা ঠিক তাই করেছে”- এমনটাই মতামত বাজার বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএস-এর প্রযুক্তি বিশ্লেষক ইয়ান ফগ-এর।
“আপনারা আপাতত ভাইন ব্যবহার করতে পারবেন। আমরা ওয়েবসাইটটি অনলাইনে রাখছি কারণ আমরা মনে করি এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনারা অবিশ্বাস্য সব ভাইন ভিডিও উপভোগ করুন”- বলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। যে কোনো ধরনের পরিবর্তন আনার আগে ব্যবহারকারীদের অবশ্যই আগে জানানো হবে বলে বলা হয় এতে।
২০১৩ সালে চালুর সময় ভাইন-কে টুইটারের স্বাভাবিক অগ্রগতির একটি অংশ বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু এখন এটি পরিষ্কার যে স্ন্যাপচ্যাট, ফেইসবুকসহ অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে একই গতিতে তাল মিলিয়ে চলতে না পারাই ‘ভাইন’ বন্ধের প্রধান কারণ, বলা হয়েছে বিবিসি-এর প্রতিবেদনে।