বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জিল বাংলা সুগার মিলসের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পুঁজিবাজারে এই শেয়ারের লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
তখন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছিলেন, “পুঁজিবাজারের স্বার্থে জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের শেয়ারের লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হল।”
গত ৯ জুলাই জিল বাংলার শেয়ারের দাম ছিল ৩১ টাকা ৬০ পয়সা, যা বাড়তে বাড়তে ১৪ সেপ্টম্বর ২১৩ টাকা ১০ পয়সায় ওঠে। সে হিসেবে দুই মাসে প্রায় ৫৭৫ শতাংশ দাম বেড়েছিল।
জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের মৌল ভিত্তির অনুপাতে দাম বৃদ্ধির গতি বেশি হওয়ায় ডিএসই এর আগে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু যৌক্তিক কোনো কারণ তারা দেখাতে পারেনি।
১৯৮৮ সালে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের শেয়ার পুঁজিবাজারে লেনদেন হচ্ছে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ৬০ লাখ শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সরকারের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৫ দশমিক ০৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের বর্তমান বাজার মূলধন ১২৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ঋনাত্মক ৩৭০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
২০১৭ সালে এ কোম্পানিটি লোকসান করেছে ৩২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে লোকসান করেছে ৪৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে এ কোম্পানিটি লোকসান করেছে ৬২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। তিন বছর কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি।