সোমবার রাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এক লিখিত নির্দেশ জারি করে মঙ্গলবার থেকে এই শেয়ারের লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এই নির্দেশে বলা হয়েছে, “পুঁজিবাজারে খাদ্য খাতে তালিকাভুক্ত, সরকারি চিনির কল, জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের শেয়ারের অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। এই শেয়ারের দাম অযৌক্তিক ভাবে বেড়েছে। লেনদেনের এই অবস্থা চলতে দিলে পরে এই শেয়ারের দামে ধস নেমে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
“পুঁজিবাজারের স্বার্থে মঙ্গলবার থেকে জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের শেয়ারের লেনদেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বন্ধ করে দেওয়া হল।”
৯ জুলাই জিল বাংলা সুগার মিলসের শেয়ারের দাম ছিল ৩১ টাকা ৬০ পয়সা, যা বাড়তে বাড়তে সোমবার ২১৩ টাকা ১০ পয়সায় ওঠে। সে হিসেবে দুই মাসে প্রায় ৫৭৫ শতাংশ দাম বেড়েছে।
জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের মৌল ভিত্তির অনুপাতে দাম বৃদ্ধির গতি বেশি হওয়ায় ডিএসই এর আগে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু যৌক্তিক কোনো কারণ তারা দেখাতে পারেনি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নোটিসের জবাবে ওই কোম্পানি বলেছিল, তাদের কাছে অপ্রকাশিত এমন কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই, যার প্রভাবে শেয়ারের দাম বাড়তে পারে। মূল্য সংবেদনশীল তথ্য না থাকার পরও দাম বেড়েই যাচ্ছিল।
১৯৮৮ সালে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের শেয়ার পুঁজিবাজারে লেনদেন হচ্ছে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ৬০ লাখ শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সরকারের হাতে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৫ দশমিক ০৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের বর্তমান বাজার মূলধন ১২৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ঋনাত্বক ৩৭০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
২০১৭ সালে এ কোম্পানিটি লোকসান করেছে ৩২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে লোকসান করেছে ৪৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে এ কোম্পানিটি লোকসান করেছে ৬২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। তিন বছর কোন লভ্যাংশ দেয়নি।