খেলা

মেসির পাগলাটে, ব্যাখ্যাতীত আনন্দ

Byস্পোর্টস ডেস্ক

রিও দে জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরে ব্রাজিলকে ১-০ গোল হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা।

২৮ বছরের মধ্যে এটিই তাদের প্রথম শিরোপা। ২০০৫ সালে অভিষেকের পর দেশের হয়ে এই প্রথম কোনো ট্রফির স্বাদ পেলেন মেসি। এবার নিয়ে খেললেন কোপা আমেরিকার ষষ্ঠ আসরে, এর আগে তিনবার হয়েছেন রানার্সআপ। ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামেই ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে হেরেছিল মেসির আর্জেন্টিনা।  

সেই মাঠেই পূরণ হলো শিরোপার স্বপ্ন। এই অর্জনের আনন্দে যেন আত্মহারা মেসি। ম্যাচ শেষে জানালেন, সাফল্য আসবেই জানতেন তিনি।

“জাতীয় দলের হয়ে কিছু অর্জনের জন্য একটি শিরোপার প্রয়োজন ছিল আমার। অনেক বছর ধরেই আমি এই প্রাপ্তির খুব কাছেই ছিলাম। আমি জানতাম, একটা সময় এই জায়গায় বদল আসবে, এমনটা (শিরোপা জয়) ঘটতে যাচ্ছে। আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ ব্রাজিলের মাটিতে ব্রাজিলের বিপক্ষে এই মুহূর্তটি উপহার দিয়েছেন। তিনি সম্ভবত এই মুহূর্তটি আমার জন্য তুলে রেখেছিলেন।”

“যে আনন্দ আমি অনুভব করছি তা পাগলাটে, অবর্ণনীয়। অনেকবারই আমাকে বিষাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। আমি জানতাম যে, আমার সঙ্গে এমন কিছু ঘটবে, যেটার জন্য এর চেয়ে ভালো কোনো মুহূর্ত হতে পারে না। এই দলের এই অর্জন সত্যিই প্রাপ্য। অসাধারণ কিছু, খুবই খুশি।”

টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে চোট নিয়েই খেলেছেন মেসি। ম্যাচ শেষে যা নিশ্চিত করেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। মেসিও জানালেন, হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগার কথা।

“ঠিক চোট নয়, হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লেগেছিল। গত ম্যাচ থেকেই ভুগছিলাম। বিশ্রামের পর্যাপ্ত সময় না পাওয়ায় আমাদের প্রায় সবারই একই অবস্থা। শেষ পর্যন্ত খেলতে পেরেছি। ভাগ্যক্রমে আমরা শিরোপাটি জিতেছি এবং সবকিছু ভালোভাবেই হয়েছে।”

বারবার স্বপ্ন ভঙ্গ হওয়ার পর যাদের কাছে পেয়েছেন আশ্রয়, যারা ছিলেন পাশে, সেই পরিবারকে এই শিরোপাটি উৎসর্গ করেছেন মেসি।

“অনেকবার এটার স্বপ্ন দেখেছি। আমার পরিবার, স্ত্রী, সন্তান, বাবা, আমার ভাইয়েরা যারা অনেক ভুগেছে, আমার মতো বা এর চেয়ে বেশি, তাদেরকে আমি এই শিরোপা উৎসর্গ করতে চাই। এতদিন কোনো কিছু না জিতেই আমরা ঘুরতে যেতাম, বিষন্ন কতগুলো দিন কাটাতাম। তবে এবার সময়টা ভিন্ন।”

SCROLL FOR NEXT