রিও দে জেনেইরোর ঐতিহ্যবাহী মারাকানা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে ফাইনালে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। তাতে ২৮ বছর পর বড় কোনো শিরোপা জেতে দেশটি। ১৯৯৩ সালে সবশেষ কোপা আমেরিকারই শিরোপা জিতেছিল তারা।
বিশ্ব মঞ্চে অপেক্ষাটা আরও লম্বা সময়ের। সেই ১৯৮৬ সালে সবশেষ শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ১৯৯০ আসরে দিয়েগো মারাদোনা ও ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠলেও বিষাদ নিয়ে ফিরে তারা। দেশের হয়ে প্রথম বড় শিরোপা জেতার পর মেসির লক্ষ্য এবার আরও বড়, ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ।
“জিতে গেলে যে নাড়া পড়ে, সেটির সুবিধা নিতে হবেই। ফলাফল সঙ্গে থাকলে কাজটা সবসময়ই সহজ।”
“ওপরে উঠতে পারলে সেই সুবিধাটা দিতেই হবে, বিশেষ করে এই দলটাকে নিয়ে। আমি ওদেরকে বলেছিলাম যে ওরা জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ এবং আমি ভুল ছিলাম না, এই ট্রফি জিতে ওরা আমাকে দেখিয়েছে।”
বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা মিলে বেশ কয়েকবার ফাইনাল থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। শিরোপা জেতার পর সেই সব সতীর্থের কথা মনে পড়ছে মেসির।
“আমি দি মারিয়াকে বলেছিলাম, সে তার প্রতিশোধের সুযোগ পাবে, সৌভাগ্যবশত সে গোলটি করেছে, আমাদের জয় এনে দিয়েছে। এটা আমি সেই সতীর্থদের সঙ্গেও ভাগ করে নিতে চাই যারা এখন দলে নেই, আমরা বেশ কয়েকবার খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম এবং তখন সেটা সম্ভব হয়নি। এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হওয়াটা তাদেরও প্রাপ্য, আমি জানি তারা আমাদের জন্য আনন্দিত, আর্জেন্টিনার জন্য আনন্দিত। তাদের সাথে এটা ভাগাভাগি করতে চাই, কারণ জাতীয় দলের জন্য তারাও অনেক অবদান রেখেছে। এই শিরোপা আমাদের অনেক বছরের কষ্টের ফল।”
এবারের আসর যৌথভাবে হওয়ার কথা ছিল আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ায়। তবে কলম্বিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি ও আর্জেন্টিনায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জন্য শেষ মুহূর্তে সেটি সরিয়ে নেওয়া হয় ব্রাজিলে। ঘরের মাটিতে ফাইনালে যাওয়ার পথে দারুণ ফুটবল খেলছিল দলটি। অপরাজিত থেকে ফাইনালে আসা তিতের ব্রাজিলকে তাদেরই মাটিতে হারানোটা মেসির কাছে বিশেষ কিছু।
“এখন আমরা খুব খুশি, উদযাপন করছি, কিন্তু এই ম্যাচটা ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে, ব্রাজিলের মাটিতে ব্রাজিলের বিপক্ষে ফাইনাল জয়ের জন্য।”