হামলায় নৌ-পুলিশের পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দে-এর মাথা ফেটে যায়।

)<div class="paragraphs"><p>হামলায় নৌ-পুলিশের পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দে-এর মাথা ফেটে যায়।</p></div>
সমগ্র বাংলাদেশ

বরিশালে নৌ-পুলিশের ওপর জেলেদের হামলা, গ্রেপ্তার ৮

Byবরিশাল প্রতিনিধি

বরিশালে মেঘনা নদীতে নৌ পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের অভিযানে হামলার ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার দিনভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানান হিজলা থানার ওসি মো. ইউনুস মিঞা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও ‘হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের’ অভিযোগে নৌ-পুলিশের এসআই মো. নাসিরউদ্দিন শনিবার সন্ধ্যায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- হিজলা উপজেলার চর মেমানিয়া গ্রামের মাঝি রাজ্জাক (৫৮), আমির হোসেন দর্জির ছেলে বশির হোসেন দর্জি (১৯), চর কুশরিয়ার জাকির রাঢ়ির ছেলে ইসমাইল রাঢ়ি (১৯) ইউসুফ সর্দারের ছেলে সাব্বির হোসেন (১৯), গঙ্গাপুরের রাজ্জাক সরদারের ছেলে রাকিব সর্দার (১৯), পারভেজ চৌকিদার (৫০), চরজানপুর এলাকার আব্দুল মান্নান মাতবরের ছেলে শাহীন মাতবর (২১) ও গোসাইরহাটের নান্নুমুন্সীকান্দি এলাকার রুবেল ঢালী (২৮)।

নৌ পুলিশের করা মামলায় ২৭ জনের পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান হিজলা থানার ওসি।

মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় ১ মার্চ থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস সব ধরনের মাছধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ে মাছ ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে শুক্রবার সন্ধ্যায় হিজলা উপজেলায় মেঘনা নদীতে নৌ-পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের দল অভিযানে গেলে তাদের ওপর আক্রমণ চালানোর অভিযোগ ওঠে।

হিজলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমএম পারভেজ বলেন, অভিযান দল ধুলখোলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ঘাট এলাকায় নদী থেকে জেলেদের বসানো একটি জাল তুলছিল। এ সময় ১০/১৫টি ট্রলার নিয়ে জেলেরা হামলা করে। হামলাকারীরা বাঁশ দিয়ে এলোপাতারিভাবে পেটানো শুরু করে।

তিনি জানান, হামলায় নৌ-পুলিশের পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দে-এর মাথা ফেটে যায়। এছাড়া পিটুনিতে কনস্টেবল জাকারিয়া, মৎস্য অধিদপ্তরের মাঝি মুজাহিদ, শাহাদাত, সালাহউদ্দিন, সোহাগ ও রাজুসহ সাতজন আহত হন। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন-

SCROLL FOR NEXT