সমগ্র বাংলাদেশ

দ্রুতগতির কারণে গোপালগঞ্জে ৩ বাহনের সংঘর্ষ: ডিসি

Byগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

শনিবার সকালের এ দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকার বার্ডেম হাসপাতালের চিকিৎসক বাসুদেব সাহা (৫৪), স্ত্রী শিবানী রানী সাহা (৪৬) ও ছেলে ঢাকার আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র স্বপ্নীল সাহা।

জেলার কাশিয়ানী উপজেলার মিল্টন বাজার এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বেলা পৌনে ১১টার দিকে বাস, প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে অন্য পাঁচজনের সঙ্গে তাদের প্রাণ যায়।

তাদের মধ্যে বাসুদেবের গাড়িচালক মো. আজিজ মিয়াও (৩৫) রয়েছেন।

অন্য চারজন হলেন দুই দম্পতি। কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা গ্রামের ফিরোজ মোল্লা (৫০), তার স্ত্রী রুমা বেগম (৪০), অনিক মিয়া (২৮) ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (২৭)।

কাশিয়ানী থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম জানান, বাসুদেবের মা অসুস্থ হওয়ায় তাকে দেখতে শনিবার সকালে তারা তিনজন প্রাইভেট কারে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যাচ্ছিলেন।

দুর্ঘটনার বর্ণনায় এসআই সিরাজুল বলেন, এক মোটরসাইকেলে অনিক ও জেসমিন গোপালগঞ্জ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। বরগুনা থেকে ঢাকাগামী রাজিব পরিবহনের একটি বাস নসিমনকে সাইড দিতে গেলে কাছাকাছি থাকা তিন বাহন দুর্ঘটনায় পড়ে।

“বাসুদেব পরিবারের কারটি মহাসড়কের পাশে ধান মাড়াইরত মেশিনের ওপর ছিটকে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। বাসটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রাস্তার ওপর উল্টে পড়ে।”

দুর্ঘটনায় আহত হন অন্তত ২৫ জন। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

বাসযাত্রী মো. শহিদুল আলম বলেন, বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ছেলেকে নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন তিনি। তারা বাসটির পেছনের দিকে ছিলেন।

“বাসটির গতি বেশি থাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। মুহূর্তের মধ্যে বাসটি উল্টে যায়।”

দুর্ঘটনায় পর গোপালগঞ্জের ডিসি শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দীকা, কাশিয়ানীর ইউএনও মেহেদি হাসান ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।

শাহিদা সুলতানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মহাসড়কে ধানমাড়াই ও গাড়ির দ্রতগতির কারণে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।”

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা ও আহতদের প্রত্যেককে চিকিৎসার জন্য পাঁচ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন

SCROLL FOR NEXT